জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার অভিযোগে করা মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। একইসাথে তাকে আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালের সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো: মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ট্রাইব্যুনালের সূচনা বক্তব্যে বিডিআর বিদ্রোহে ৭৪ জনকে হত্যা, শাপলা চত্ত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হত্যা, র্যাবের বিচার বহির্ভূত হত্যা, জুলাই-আগস্ট গণহত্যাসহ আওয়ামী শাসনামলে মানবতা বিরোধী অপরাধের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়ার কথাও জানিয়েছেন।