জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের ফাঁস হওয়া অডিও ফোনালাপে যে নারী কণ্ঠ শোনা গেছে, সেটি নিজের নয় বলে দাবি করেছেন দলটির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনুভা জাবীন। মঙ্গলবার (১৭ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এই দাবি করেন।
তাসনুভা জাবীন তার পোস্টে লিখেছেন, “শুধু এটুকু বলি, যার অডিও আমার নামে বলে ফটোকার্ড, ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে ভরায় ফেলছেন, আমি বা আমরা খুব সহজে তার নাম প্রকাশ করে আমার বিরুদ্ধে হওয়া এই জঘন্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করতে পারি।” তিনি আরও বলেন, “আমরা তার নাম পাল্টা প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকছি।”
এই নেত্রী অভিযোগ করেন, “রাজনীতিতে আসার পর দ্বিতীয়বারের মতো খুব পরিকল্পনামাফিক এই ভয়াবহ সাইবার আক্রমণ চালানো হচ্ছে আমাকে ঘিরে। আমি শুধু বুঝি, আমার কথা বা লেখা গুরুত্বপূর্ণ না হলে এত মানুষ আমাকে নিচে নামানোর এত আপ্রাণ চেষ্টা করত না। এসবের উত্তর ‘সময়’ অবশ্যই দিবে। আল্লাহ ভরসা।”
এর আগে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের একটি ফোনালাপ ফাঁস করেন প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর। ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপে সারোয়ার তুষারকে এনসিপির এক নারী নেত্রীকে কুপ্রস্তাব দিতে শোনা যায়। প্রবাসী ওই সাংবাদিকের দাবি, কুপ্রস্তাব দেওয়া নারী কণ্ঠটি এনসিপির এক নেত্রীর। এই ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এই ঘটনার জেরে সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে এনসিপি। তাকে পাঁচ দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশ জানানো হয়।
তবে, সারোয়ার তুষার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দল স্বপ্রণোদিত হয়ে তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে এবং তিনি লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দেবেন।