ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় ও কোচদের তালিকা করলে লিওনেল মেসি আর হোসে মরিনহোর নামটা উপরের দিকেই থাকবে। ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’ খ্যাত মরিনহো বেশ কয়েকবারই প্রতিপক্ষ দলে খুঁজে পেয়েছেন মেসিকে। রিয়াল মাদ্রিদে থাকতে এ আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে রুখতে একের পর এক ছক কষতে হয়েছে মরিনহোকে। এবার এ পর্তুগিজ অভিজ্ঞ কোচ জানালেন, মেসিকে ঠেকানোর চ্যালেঞ্জই তার কোচিং দক্ষতা বাড়াতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে।
যদিও শুধু স্প্যানিশ জায়ান্টদের কোচ হিসেবেই নয়, পোর্তো, চেলসি ও ইন্টার মিলানে থাকাকালীনও মেসিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পান মরিনহো। ২০০৩-এর নভেম্বরে এক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মরিনহোর পোর্তোর বিপক্ষেই বার্সেলোনার হয়ে অভিষেক হয় মেসির। তবে রিয়ালের দায়িত্বে থাকা অবস্থাতেই মেসিকে নিয়ে বেশি ভাবতে হয় এ ৬২ বছর বয়সী কোচকে। ক্রীড়াবিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল স্পোর্টিনেটকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মরিনহোর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোন খেলোয়াড় তার কোচিং দক্ষতা বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে। উত্তরে তুর্কি ক্লাব ফেনারবাচের বর্তমান কোচ মরিনহো বলেন, ‘মেসি, কেননা তার বিপক্ষে যতবারই খেলা ছিল, প্রতিবারই সে আমাকে আরও বেশি ভাবতে বাধ্য করেছে।’ যদিও সর্বকালের সেরা ফুটবলারের বিতর্ক একেবারেই ঠান্ডা মাথায় নিতে পারেননি মরিনহো। একটু রাগের সুরেই বলেন, ‘এ বিতর্ক আমার কাছে অন্যায্য মনে হয়। এ বিষয়ে কেউ যখন কথা বলে, তখন আমার মেজাজ খারাপ হয়। নতুন প্রজন্ম এখনকার ফুটবল সম্পর্কে জানে। তবে পেলে, ইউসেবিও বা বেকেনবাওয়ারকে গভীরভাবে জানে না। অথচ তারা তাদের সঙ্গে বর্তমান (ফুটবলারদের) তুলনা করে।’ ঠিক কী কারণে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে এ তুলনা টানা ঠিক নয়, সে প্রসঙ্গে মরিনহো বলেন, ‘তাদের সময়ের ফুটবল আর আজকের ফুটবল এক নয়। ৪০ বছর আগে বৃষ্টি হলে বলের ওজর ১০ কেজি হয়ে যেত। আর এখন শাঁ শাঁ করে বল ওড়ে।’
ইউরোপের ফুটবলের অধ্যায়ের সমাপ্তি করে বর্তমানে আমেরিকার মেজর লীগ সকারে (এমএলএস) খেলছেন মেসি। আগামীকাল লীগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইন্টার মায়ামির হয়ে টাইগ্রেস ইউএএনএলের বিপক্ষে খেলবে আর্জেন্টাইন মহাতারকা। অন্যদিকে মরিনহো ব্যস্ত ফেনারবাচেকে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের মূল পর্বে তোলার প্রস্তুতিতে। তাই মেসি আর মরিনহোকে হয়তো আরেকবার ফুটবল মাঠে কখনওই একে অপরের বিপক্ষে দাঁড়াতে দেখা যাবে না।