বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করা হয়েছে। বোর্ডের সংবিধান ও নিয়মাবলীর অধীনে নির্বাচনের প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিশন।
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেনকে করা হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার। বাকি দুই নির্বাচন কমিশনের সদস্য হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মো. সিবগাত উল্লাহ। নাম ঘোষণা না হলেও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব) কমিশনের তৃতীয় সদস্য।
পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন হবে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। তারিখ অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারা ও ৫ম অধ্যায় অনুযায়ী, কার্যনির্বাহী কমিটির মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের নিয়মাবলি প্রণয়ন, তফসিল ঘোষণা, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ এবং সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে।
বিসিবির সংবিধান অনুযায়ী, ঢাকা ভিত্তিক ক্লাবগুলো (ক্যাটাগরি-১) থেকে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হন ৭৬ জন ক্লাব কাউন্সিলরের মাধ্যমে।
ক্যাটাগরি-২, যেখানে আঞ্চলিক ও জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি থাকে, সেখান থেকে আট বিভাগ ও ৬৪ জেলার কাউন্সিলরের ভোটে ১০টি পদ পূরণ হয়।
ক্যাটাগরি-৩ এ ‘অন্যান্য প্রতিনিধি’ কোটায় একজন পরিচালক নির্বাচিত হন। এ ছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে মনোনীত হন দুই পরিচালক। এভাবে ২৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়। তারপর বোর্ড পরিচালকেরা মিলেই সভাপতি নির্বাচন করেন।