আওয়ামী লীগ ধরলে ৫ হাজার টাকা পুরস্কার’ যা বললো ডিএমপি

0
31
আওয়ামী লীগ ধরলে ৫ হাজার টাকা পুরস্কার’ যা বললো ডিএমপি
আওয়ামী লীগ ধরলে ৫ হাজার টাকা পুরস্কার’ যা বললো ডিএমপি
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ফটোকার্ড ভাইরাল হয়। সেখানে বলা হয়, ঝটিকা মিছিল থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ধরতে পারলে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের জন্য ৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। তবে ভালো কাজের জন্য পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করা হলেও এমন ঘোষণার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো পুরস্কার দেওয়ার কথা জানে না ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি বলছে, স্বাভাবিকভাবে ডিএমপির কোনো সদস্য ভালো কাজ করলে সেই কাজ উৎসাহিত করা হয়। এক্ষেত্রে তাদের আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার প্রবিধান আইনিভাবে রয়েছে। কাজে উৎসাহিত করার জন্য তাদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার বিধান রয়েছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের কাউকে ধরলেই ৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে’। এই বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তালেবুর রহমান বলেন, এটি অনেকেই অনেকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবে আমাদের কোনো সদস্য ভালো কাজ করেন, আমরা সেটি উৎসাহিত করি। এক্ষেত্রে তাদের আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার প্রবিধান আইনিভাবে রয়েছে। কাজে উৎসাহিত করার জন্য তাদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার বিধান রয়েছে। তবে বিশেষভাবে কোনো একটি বিষয়ে কাজের জন্য পুরস্কৃত করার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যে কোনো সময় যে কাউকে ভালো কাজের জন্য উৎসাহিত করার বিধান আমাদের রয়েছে। এবং এটা আমরা আইনের ভেতরে থেকে নিয়মের মধ্যে করি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজধানীতে ডিএমপির ছয় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। যেগুলো আমাদের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর বাইরে গুলশান, বনানী, বারিধার ও নিকেতন সোসাইটি অংশে এলওসিসি (ল অ্যান্ড অর্ডার কমিউনেশন কমিটি) নিজস্ব উদ্যোগে প্রায় ১২০০ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যেগুলো সংশ্লিষ্ট এলাকার নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কাজ করছে এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অনেকাংশে ভূমিকা রাখবে। দুটি মিলে সর্বসাকুল্যে ২ হাজারের অধিক সিসিটিভি ক্যামেরা সক্রিয় রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের সিসিটিভি ক্যামেরার আওতা আরও বাড়ানোর জন্য, যা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
মোহাম্মদপুরের এসিসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে ডিএমপির থানা, ফাঁড়ি বা ডিভিশনে যতগুলো ইউনিট রয়েছে, তাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিদর্শন ও তাদের দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রায়শই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে যান। গত শুক্রবার একইভাবে মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শনে যান ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস)। সেখানে গিয়ে ফোর্স ও অফিসারদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এক পর্যায়ে তিনি কিছু পুলিশ সদস্যের কাজকর্মে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে বিকেলে মোহাম্মদপুর জোনের এসি, মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শক (অপারেশনস) ও তখনকার ডিউটি অফিসারকে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এটা নিতান্তই প্রশাসনিক কারণে। এটা নিয়ে অন্য কোনো অপতথ্য ছড়ানো বা ভুল ব্যাখ্যা করার কোনো অবকাশ নেই। এটাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখবো। যাতে আমাদের সদস্যরা সব সময় দায়িত্ব পালনে তৎপর ও সতর্ক থাকেন।
সম্প্রতি এক পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকাবাসীকে রাত ৯টার পর হাতিরঝিলে যেতে নিষেধ করেছেন। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ডিএমপি দিনরাত নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমরা (ডিএমপি) আমাদের পক্ষ থেকে কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানে কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে কারও চলাচলে নিরুৎসাহিত করিনি। এটা অন্য কোনো ইউনিট করে থাকলে এটা আমার জানা নেই। আমাদের পক্ষ থেকে বলতে পারি, আপনারা নিশ্চিন্তে নির্ভয়ে চলাফেরা করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here