টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের আসল শক্তি তাদের স্পিন আক্রমণ। বিশ্বসেরা লেগ স্পিনার রশিদ খানের সঙ্গে আছেন তরুণ প্রতিভা নূর আহমেদ ও রহস্যময় স্পিনার মোহাম্মদ গাজানফর। যেকোনো উইকেটে তাদের সামলানো কঠিন। এশিয়া কাপে হোঁচট খাওয়া বাংলাদেশি ব্যাটারদের জন্য তাই এটা হতে যাচ্ছে সত্যিকারের পরীক্ষা।
ব্যাটিং বিপর্যয়ের ভিড়েও যে কজন আশা দেখিয়েছেন, তাদের মধ্যে সাইফ হাসান অন্যতম। এশিয়া কাপে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন তিনি। জাকেরও ভরসা রাখছেন তার ওপর, ‘সাইফ খুব ভালো করছে। চাইব এই সিরিজেও ও বড় রান করুক। অন্যরাও ভালো করলে সিরিজ আমাদের পক্ষে যাবে।’
লিটনের অনুপস্থিতিতে ওপেনিংয়ে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে নতুন করে দলে ফেরা সৌম্য সরকারকে। যদিও ভিসা জটিলতার কারণে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছাতে পারেননি তিনি। তবে আশা করা হচ্ছেÑপ্রথম ম্যাচ থেকেই দলের সঙ্গে থাকবেন। সৌম্য যোগ হলে অভিজ্ঞতা ও আক্রমণাত্মক মানসিকতা দুটিই বাড়বে দলে। বাংলাদেশের জন্য এই সিরিজ শুধু জয়-পরাজয়ের নয় বরং আত্মবিশ্বাস ফেরানোর লড়াই। স্পিনে শক্তিশালী আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভালো ব্যাটিং করলে সেটা হবে বড় বার্তা। আর বোলিং বিভাগেও মোস্তাফিজ-তাসকিনদের কাছ থেকে প্রত্যাশা থাকবে ধারাবাহিক সফলতার।
বাংলাদেশ দলের সমর্থকরা তাই তাকিয়ে আছে আজকের ম্যাচের দিকে। এশিয়া কাপের ব্যর্থতার ছায়া কাটিয়ে কি নতুন আলো খুঁজে পাবে টাইগাররা? নাকি আবারও ঘূর্ণির ফাঁদে হার মানতে হবে? উত্তর মিলবে শারজায়