বাংলাদেশের শতবর্ষের পুরনো জমি-সংক্রান্ত বিচার ব্যবস্থায় এসেছে বড় ধরনের পরিবর্তন। দীর্ঘদিন ধরে জমি মালিকদের বেদখল বা জবরদখল নিয়ে যে সমস্যা চলছিল, তা দূর করতে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে নতুন অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এখন দেশের আদালতগুলোতে জমি সংক্রান্ত মামলা দ্রুত, স্বচ্ছ ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি হবে।
মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ:
- সাক্ষ্য গ্রহণে সহজ পদ্ধতি:
সাক্ষীদের আর সরাসরি আদালতে হাজির হতে হবে না। তারা লিখিত অ্যাফিডেভিট জমা দিতে পারবেন। প্রয়োজন হলে আদালতের নির্দেশে সাক্ষীদের জেরা করা হবে। - সমন পাঠানো ডিজিটালি:
এখন সমন মোবাইল এসএমএস, ইমেইল বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো যাবে। গ্রহণের নিশ্চয়তা থাকায় সময় ও ঝামেলা কমবে। - মামলার সময় হ্রাস:
দুই থেকে চারবার সময় চাওয়া হলেও, এরপর দ্রুত শুনানি ও রায় দেওয়া হবে। - এক মামলাতেই জমির ভোগদখল নিশ্চিত:
আলাদা ‘ডিক্রিজারি’ মামলা করার প্রয়োজন নেই। রায়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন ও পুলিশের মাধ্যমে জমি মালিকের হাতে ফেরানো হবে। - ভুয়া দলিলের ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তি:
জাল দলিল বা প্রমাণ আদালতে জমা দিলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইনজীবী এবং সাধারণ নাগরিকরা বলছেন, এই সংস্কার দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেছে। এর ফলে জমি মালিকদের হয়রানি ও আর্থিক চাপ কমবে। আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জমি-সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে এবং একক রায়ের মাধ্যমে ভোগদখল নিশ্চিত হবে।
জমি মালিকদের অবশ্যই বৈধ দলিল, খতিয়ান, নামজারি এবং ভোগদখলের প্রমাণসহ মামলা করতে হবে। ফলে যারা বেদখল জমি নিয়ে দীর্ঘদিন সমস্যায় ছিলেন, তারা সহজেই ন্যায়বিচার পেয়ে জমির ভোগদখল ফিরে পাবেন।




