দীর্ঘ ১৮ বছর লন্ডনে নির্বাসন কাটিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি বিএনপির তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। স্মরণকালের সেরা সংবর্ধনা দিতে প্রস্তুতির কোনো কমতি রাখছে না দলটি।
তারেক রহমানকে বরণ করে নিতে ইতিমধ্যে একটি শক্তিশালী অভ্যর্থনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ কমিটির আহ্বায়ক এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১০ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটকে বিমানবন্দরে সুশৃঙ্খলভাবে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে।
দক্ষ কর্মীদের নিয়ে একটি বিশেষ নিরাপত্তা দল গঠন করা হচ্ছে, যারা বিমানবন্দর থেকে শুরু করে তাঁর পরবর্তী গন্তব্য পর্যন্ত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সূত্রমতে, ২৫ ডিসেম্বর বিমানবন্দরে নামার পর তারেক রহমানের সম্ভাব্য গন্তব্যগুলো হলো: বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি হাসপাতালে যাবেন চিকিৎসাধীন মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে।
তিনি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসায় উঠবেন, যা খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’র পাশেই অবস্থিত। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাঁর বসার জন্য পৃথক কক্ষ ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে।
তারেক রহমান দেশে ফিরেই সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় নামবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। গত সোমবার ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি নিজেই জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি দেশের প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে এবং পাড়া-মহল্লায় সশরীরে নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করবেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশবাসী আমাদের নেতার অপেক্ষায় আছে। ২৫ ডিসেম্বর নেতাকর্মীরা সড়কের দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে প্রিয় নেতাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।”




