উত্তর ভারতে আকস্মিক বন্যায় নিহত বেড়ে ২৮

0
156

উত্তর ভারতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের বিভিন্ন অংশে বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে গত তিন দিনে সেখানে কমপক্ষে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের বেশিরভাগই হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা।

সোমবার (১০ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই তথ্য জানিয়েছে। তবে ভারতের সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া ১০ জনের মৃত্যুর কথা বলছে।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিমাচল প্রদেশ। এছাড়াও উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মির, রাজস্থান, দিল্লি এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরো বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দফতর।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, রোববার নয়াদিল্লিতে ১৫৩ মিলিমিটার (৬ ইঞ্চি) বৃষ্টি হয়েছে। শুধু জুলাই মাসের হিসেবে এটি ১৯৮২ সালের পর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের নতুন রেকর্ড। দিনটিকে ‘জুলাই’র আদ্রতম দিন’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

ভারতে বর্ষা মৌসুমে নিয়মিত মারাত্মক বন্যা দেখা যায়, যা জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হয়ে থাকে এবং দক্ষিণ এশিয়ার বার্ষিক বৃষ্টিপাতের বেশিরভাগ অংশ এই এলাকাতে হয়। মৌসুমে রোপণ করা বৃষ্টি-নির্ভর ফসলের জন্য বৃষ্টিপাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে প্রায়শই এর কারণে বেশ ক্ষতি হয়।

প্রতিবেশি পাকিস্তানও মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কবলে পড়েছে। ভারত থেকে পাকিস্তানে প্রবাহিত রবি নদীতে ভারত বাঁধের পানি সরিয়ে নেয়ার পরে কর্তৃপক্ষ মৌসুমের প্রথম বন্যার জন্য সতর্ক ছিল।

পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের নিম্নাঞ্চল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। নারওয়াল ও শিয়ালকোটের গ্রামগুলো থেকে রাতারাতি ১৫০ জনেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

গত ২৫ জুন থেকে পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আবহাওয়াজনিত বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here