নিউইয়র্কঃ গ্লোবাল পিস অ্যাম্বাসেডর ড. আবু জাফর মাহমুদ বাংলাদেশিদের একে অপরের মধ্যে
ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। একতাই আমাদের শক্তি, বাংলাদেশি আমেরিকানদের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য্য। তিনি গত রোববার ব্রঙ্কস এর ফেরী পয়েন্ট পার্কে সিলেটের ‘বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর প্রবাসী কল্যান সোসাইটি আয়োজিত বার্ষিক বনভোজন অনষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির কৃতি ব্যক্তিত্ব, বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসেস ও অ্যালেগ্রা হোম কেয়ার ইনক্ এর প্রেসিডেন্ট এবং সিইও ড. আবু জাফর মাহমুদ ওই
বনভোজন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর পরিবারের
সঙ্গে একাত্ম হতে পারায় আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। একই সঙ্গে উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানটি তিনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নামে উৎসর্গ করেন।
‘বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর প্রবাসী কল্যান সোসাইটির সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনওয়াইপিডি’র কর্মকর্তা খন্দকার আব্দুল্লাহ, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ডা. জুননুন চৌধুরী, উপদেষ্টা নাজমুল চৌধুরী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ফয়জুর নূর চৌধুরী ও নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র এরিখ এডামস্ এর অফিসের প্রতিনিধি। জুয়ায়েব চৌধুরী ও কাউছার আহমেদের উপস্থাপনায় পিকনিকের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন সৈয়দ এনাম আহমেদ। অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. আসাদ মিয়া, বিশ্বনাথ সমিতির উপদেষ্টা আলমাস আলী, প্রেসিডেন্ট সেবুল খান মাহবুব, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সহসভাপতি শাহীন কামালী, মিজানুর রহমান মিজান, সাইফুর খান হারুন, ফয়েজ চৌধুরী, তানিম চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ, আলম খান, তৌফিকুল আলম, মোহন মিয়া, সারওয়ার চৌধুরী, সেরুজ্জামান সিরু প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আবু জাফর মাহমুদবাংলাদেশি আমেরিকানদের মানবিক ও জাতিগত বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা আমাদের বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়েই এই সমাজের সঙ্গে যুক্ত। এখানকার
বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির যে বৈশিষ্ট্য, আচার ও স্বভাব আমরা তার থেকে ব্যতিক্রম। আমরা আমাদের ধর্মবোধ ও বাঙালি সংস্কৃতির যে নিজস্বতা তা গভীরভাবে লালন করি। অন্যদের মাঝে তা এক শিক্ষা হিসেবে উপস্থাপন করি। এটি অনেক বড় সামাজিক কাজ। বাংলাদেশি পরিবারের পারিবারিক শৃংখলা, ভালোবাসাবোধ ও নিজস্ব সংস্কতি চর্চার ক্ষেত্রে সিলেটের বালাগঞ্জ এক অনন্য ক্ষেত্র। এখানকার মানুষ জন্মের সময় থেকে
পরিবারের একান্ত আপন আত্মীয় স্বজনের অসাধারণ ভালোবাসা ও মমতা পেয়ে থাকে। এই ভালোবাসাই প্রতিটি নারী পুরুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হয়ে ওঠে। এটিই আমাদের সংস্কৃতি। এটিই আমাদের
সভ্যতা। ভালোবাসা ছাড়া আমাদের কোনো সভ্যতা নেই। এই আমেরিকায় বিভিন্ন জাতি
গোষ্ঠি ব্যক্তিকেন্দ্রিক বা ক্ষুদ্র স্বার্থকেন্দ্রিক জীবন চর্চায় ব্যস্ত। ঠিক এই বৈশিষ্ট্যের বিপরীতে আমরা পরিবার ও সমাজ নিয়ে চলতে পছন্দ করছি। এই বনভোজন তারই এক দৃষ্টান্ত।