পাকিস্তানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে

0
109

অপারেশন সার্চলাইটের প্রথম রাত শেষে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সকালে শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত নিজের কমান্ড পোস্ট থেকে বাইরে এসে শহরের দিকে তাকিয়ে জেনারেল টিক্কা খান বিদ্রƒপের হাসিতে তার জনসংযোগ কর্মকর্তা সিদ্দিক সালিককে বলেন, ঢাকা শহরে কয়েকটি নেড়ি কুত্তা ছাড়া মানুষজন আছে বলে তো মনে হচ্ছে না। উইটনেস টু সারেন্ডার গ্রন্থে সিদ্দিক সালিক সেদিনের সকালের দৃশ্যপটের স্মৃতিচারণায় এ কথাগুলোই লিখেছেন। একাত্তরে মাত্র আট মাস ২২ দিনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৩০ লাখ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করে। মানবসভ্যতার ইতিহাসে রেকর্ডকৃত তথ্যমতে, এত স্বল্প সময়ে এত বড় গণহত্যা বিশ্বের আর কোথাও হয়নি। উপরোক্ত গণহত্যা পাকিস্তান সেনাবাহিনী চালায় আনুষ্ঠানিক লিখিত মিলিটারি অপারেশন আদেশ জারি করে। এটা ছিল মূর্খতা ও গোঁয়ার বুদ্ধির পরিচায়ক এবং সীমাহীন ঔদ্ধত্যের উদাহরণ। প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত বিশ্বের বহু প্রান্তে অনেক রকমের এবং বহু ডাইমেনশনের গণহত্যা হয়েছে, যার কোনোটাই লিখিত সামরিক আদেশ জারি করে করা হয়নি। যেখানে যা ঘটেছে তা করা হয়েছে ক্ল্যানডেস্টাইন (গোপন পরিকল্পনা) পন্থায় এবং গোপনীয় বা বিশেষ বাহিনীর দ্বারা। ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশ। পাকিস্তান সেনাবাহিনী একাত্তরের মার্চ মাসের ২৫ তারিখ দিবাগত রাতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে। তাদের অভিযান শুরু হওয়ার পরই কেবল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাই জাতিসংঘের কনভেনশন অনুযায়ী পাকিস্তান এক্ষেত্রে আগ্রাসি এবং প্রথম আক্রমণকারী দেশ। সুতরাং কনভেনশন অনুযায়ী এই যুদ্ধের সব দায়-দায়িত্ব বর্তায় পাকিস্তানের ওপর। পাকিস্তান সেনা অভিযানের সাংকেতিক নাম দেয় অপারেশন সার্চলাইট। এর প্রথম পর্ব চলে মধ্য মে মাস পর্যন্ত। তারপর শুরু হয় সার্চলাইটের দ্বিতীয় পর্ব, যা বলবৎ থাকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথম পর্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তৎকালীন সব মহাকুশা শহর, গুরুত্বপূর্ণ বন্দর, ব্যবসা কেন্দ্র এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুগুলোকে দখল ও নিয়ন্ত্রণ নেয়। অপারেশন সার্চলাইটের প্রথম পর্বের প্রথম রাতে (২৫ মার্চ রাত) পাকিস্তান সেনাবাহিনী অভিযান চালায় ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রাজশাহী, রংপুর, সৈয়দপুর ও সিলেট শহরে, অর্থাৎ সে সময়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অবস্থানকৃত শহরগুলোকে তারা প্রথম টার্গেট হিসেবে বেছে নেয়। গভর্নরের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী ছিলেন ঢাকা শহরের দায়িত্বে আর ১৪ পদাতিক খাদিম হোসেন রাজা ছিলেন ঢাকা ব্যতীত অন্য শহরগুলোর দায়িত্বে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল হামিদ খান ১৭ মার্চ খাদিম হোসেন রাজাকে সার্চলাইটের আদেশনামা চূড়ান্ত করার হুকুম দেন। খাদিম ও রাও ফরমান আলী ১৮ মার্চ একত্রে ঢাকা সেনানিবাসে বসে অপারেশন আদেশনামা চূড়ান্ত করেন। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ফেব্রæয়ারি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে জুলফিকার আলী ভুট্টোর সঙ্গে পরামর্শের পর পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক অভিযানের জন্য সেনাপ্রধান হামিদ খানকে প্রস্তুত হতে বলেন। হামিদ খান ও পূর্ব পাকিস্তানের নতুন গভর্নর ও সামরিক প্রধান টিক্কা খান একত্রে ২০ মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের অনুমোদন দেন। এর মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) গুল হাসান কয়েকবার রাওয়ালপিন্ডি থেকে ঢাকায় আসা- যাওয়া করেন। জুলফিকার আলী ভুট্টোর প্ররোচনায় গুল হাসান ও টিক্কা খান দুজনে মিলে তত্ত¡ দেন সাড়ে ৭ কোটির মধ্যে ২৫-৩০ লাখ বাঙালি হত্যা করলে কিছু যাবে-আসবে না। বরং তাতে সব ঠিক হয়ে যাবে এবং পাকিস্তান রক্ষা পাবে। আগামী ৩০ বছর নিশ্চিন্তে বাঙালিদের শাসন করা যাবে। এই তত্তে¡র সূত্রেই ২৬ মার্চ সকালে ঢাকা ত্যাগকালে বিমানবন্দরে জুলফিকার আলী ভুট্টো তার সফরসঙ্গী অফিসারদের বলেন, ‘থ্যাংক গড পাকিস্তান ইজ সেভড’ অর্থাৎ পাকিস্তান রক্ষা পেল। রাও ফরমান আলী ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা শহরে অপারেশন পরিচালনার জন্য ৫৭ পদাতিক ব্রিগেড ও তার কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব আরবাবের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করেন। ৫৭ ব্রিগেডের অধীনে ছিল ২২ বালুচ রেজিমেন্ট ১৮ পাঞ্জাব, ৩২ পাঞ্জাব, ৩১ গোলন্দাজ এবং ১৩ ফ্রন্টিয়ার রেজিমেন্ট। সার্চলাইটের আদেশনামায় রাও ফরমান আলী সুনির্দিষ্টভাবে টার্গেট উল্লেখপূর্বক আদেশ দেন কোন সেনাদল কোথায় অভিযান চালাবে। আদেশনামায় টার্গেট হিসেবে উল্লেখ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষভাবে নির্দিষ্ট করেন ইকবাল হল, জগন্নাথ হল, ঢাকা হল এবং শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা। ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ ১৮ পাঞ্জাব রেজিমেন্টকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতে আক্রমণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। একইভাবে অন্যান্য সেনাদলকে আলাদা আলাদাভাবে পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, চকবাজার, পিলখানা ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনকে টার্গেট হিসেবে নির্দিষ্ট করে আক্রমণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণীয় বিষয় হলো, লিখিতভাবে সামরিক অপারেশন আদেশনামায় বেসামরিক এলাকা ও মানুষকে টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। ঢাকার বাইরেও অন্য শহরগুলোতে খাদিম হোসেন রাজা বেসামরিক মানুষ ও আবাসিক এলাকাকে টার্গেট হিসেবে আক্রমণের জন্য নির্ধারণ করে দেন। ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় কত বড় গণহত্যা চালানো হয় তার চিত্র বোঝার জন্য টিক্কা খানের উক্তিই যথেষ্ট, যে কথা লেখার শুরুতেই উল্লেখ করেছি। সিদ্দিক সালিক উইটনেস টু সারেন্ডার গ্রন্থের ৭২ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ২৫ মার্চ সন্ধ্যার মধ্যে পরিপূর্ণ একটি গণহত্যার জন্য নিখুঁত ও যুৎসই প্রস্তুতি নেয় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোবিন্দ্র চন্দ্র দেবসহ এক ডজনের ওপর শিক্ষক এবং কয়েক শ ছাত্রকে হত্যা করা হয়।
এক রাতেই শাঁখারীবাজারে নিহত হন প্রায় ৮ হাজার মানুষ। চকবাজারসহ ঢাকা শহরের অন্যান্য এলাকায়ও একই রকম হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। পুরান ঢাকায় প্রধানত টার্গেট করা হয় হিন্দু স¤প্রদায়ের মানুষকে। ঘুমন্ত নারী-শিশুসহ ঘরবাড়িতে গানপাউডারের মাধ্যমে আগুন দেওয়া হয়। বুড়িগঙ্গার ওপার থেকে সারা রাত দাউ দাউ করে পুরান ঢাকায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। ২৫ মার্চ গণহত্যার নৃশংস বর্ণনা বিশ্ব মিডিয়াতেও ছাপা হয়। একমাত্র বিদেশি সাংবাদিক সাইমন ড্রিং ওই রাতে ঢাকায় ছিলেন। পরে লন্ডনে পালিয়ে গিয়ে ৩১ মার্চ ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় তিনি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ সব ধরনের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে। ইকবাল হলকে তারা প্রধান লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর ওপর একদিকে উপর্যুপরি ভারী কামানের শেল নিক্ষেপ করা হতে থাকে, একই সঙ্গে চলতে থাকে মেশিনগানের গুলি। শুধু ইকবাল হলেই প্রথম ধাক্কায় ২০০ ছাত্র নিহত হন। বেসামরিক মানুষের ওপর এমন সমন্বিত অস্ত্রের ব্যবহার বিশ্বে আর কোথাও হয়নি। দুই দিন পর্যন্ত পোড়া ঘরগুলোর জানালায় মৃতদেহ ঝুলে থাকতে দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মর্নিং হেরাল্ড পত্রিকায় এই মর্মে খবর হয় যে, ২৫ মার্চ রাতে সারা বাংলাদেশে ১ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যুদ্ধ সম্পর্কে জেনেভা কনভেনশনের প্রারম্ভে বলা হয়েছে, যুদ্ধেরও একটা সীমা ও নিয়ম আছে, বেসামরিক মানুষকে কখনোই টার্গেট করা যাবে না। তারপর জেনেভা কনভেনশনে যুদ্ধরত বাহিনীকে ১০টি রুলস বা বিধি মান্য করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে, যেখানে তিনটি বিধির মাধ্যমে বিশেষভাবে বেসামরিক মানুষের জন্য রক্ষাকবচ তৈরি করা হয়েছে। তার মধ্যে এক নম্বর বিধিতে বেসামরিক মানুষকে টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেটা করা হলে তা অবশ্যই যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তাই জেনেভা কনভেনশন অনুসারে অপারেশন সার্চলাইটে বেসামরিক মানুষকে টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিঃসন্দেহে যুদ্ধাপরাধ করেছে। সার্চলাইটের আদেশনামা পড়লে তা যে কেউ বুঝতে পারবেন। সুতরাং যুদ্ধাপরাধের দায় থেকে পাকিস্তান রক্ষা পাবে না। কোনো সুযোগ নেই।
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকান কনসাল জেনারেল আর্চার কে বøাড তার নিজের লিখিত ক্রয়েল বার্থ অব বাংলাদেশ গ্রন্থের ২১৩ পৃষ্ঠায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাছাই করা গণহত্যার বর্ণনা দিয়েছেন। এ গণহত্যার রিপোর্ট তিনি ২৮ মার্চ ওয়াশিংটনে পাঠিয়েছিলেন। একই রকম বাছাইকৃত গণহত্যার বর্ণনা পাওয়া যায় তখন দিল্লিতে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত কেন কিটিংয়ের প্রতিবেদনে, যার বর্ণনা রয়েছে আর্চার বøাডের বইয়ের ২১৫ পৃষ্ঠায়। ১৯৭২ সালে জানুয়ারির ৩ তারিখে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রীয় পত্রিকা প্রাভদা প্রকাশ করে, বাংলাদেশে গত ৯ মাসে ৩০ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। লন্ডনের মর্নিং নিউজ ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি প্রকাশ করে। গত ৯ মাসে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী বাংলাদেশে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করে। সুতরাং পাকিস্তান সেনাবাহিনী ’৭১-এ বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে তার যথেষ্ট প্রমাণ আছে। এখানে উল্লেখ্য, একাত্তরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা আজকের থেকে অনেক অনেক খারাপ অবস্থায় ছিল। বর্তমানে জেলা, তখনকার মহকুমা শহরের সঙ্গে সব জায়গায় সড়ক ও রেল যোগাযোগ ছিল না। ওই রকম যোগাযোগ ব্যবস্থায় পাকিস্তান আর্মি গ্রামগঞ্জে গিয়ে কিছুতেই হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারত না, যদি রাজাকার, শান্তি কমিটির সদস্য, জামায়াত, মুসলিম লীগের সদস্যরা পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে না থাকত। তখন জামায়াত মুসলিম লীগের যারা পাকিস্তানি গণহত্যার সঙ্গী ছিলেন তার অনেকেই এখন আর সশরীরে জীবিত নেই। কিন্তু দেশের সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য পাকিস্তানের গণহত্যার ওইসব বাঙালি সহযোগী যারা ছিলেন তাদের উত্তরসূরিদের উচিত অনুতপ্ত হয়ে তাদের পূর্বসূরিদের পক্ষ হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। অন্যদিকে পাকিস্তানকেও ক্ষমা চাইতে হবে এবং যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আগ্রাসি অর্থাৎ আক্রমণকারী পক্ষ হিসেবে জার্মানি একাধিকবার গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে এবং যুদ্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। জার্মানির চ্যান্সেলর উইলি ব্রান্ড ১৯৭০ সালে পোল্যান্ড সফরে যান এবং যে স্থানে ইহুদিদের দলবদ্ধ অবস্থায় হত্যা করা হয়েছিল সেখানে প্রকাশ্যে হাঁটু গেড়ে জার্মান জাতির পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যদিও উইলি ব্রান্ড নিজে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অপর আক্রমণকারী পক্ষ জাপান একাধিকবার চীন ও কোরিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের মানুষ কিছু ভুলে যায়নি। আন্তর্জাতিক প্রথা ও জাতিসংঘের কনভেনশন অনুযায়ী পাকিস্তানের পক্ষে এ কথা বলার সুযোগ নেই যে, যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল তারা কেউ এখন বেঁচে নেই। আন্তজার্তিক আইনের কাছে তাদের মাথা নত করতে হবে। পাকিস্তান কর্তৃক নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া ছাড়া অন্য কিছু বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here