চিয়া বীজ দিয়ে তৈরি স্মুদি
সারাদিন রোজা রাখার কারণে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আবার দীর্ঘ সময় খাবার না খাওয়ার কারণে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে শরীরে নানা রকম সমস্যাও দেখা দেয়। এ কারণে রোজা ভাঙার সময় শুধু পানি না খেয়ে তার বদলে চিয়া বীজ ভেজানো পানি খেতে পারেন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, পানির ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে চিয়া। এই বীজে ফাইবারের পরিমাণও বেশি। অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখতে পারে চিয়া। এ ছাড়াও নানা রকম ভিটামিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ়, জ়িঙ্ক, আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় বেশ কিছু খনিজ রয়েছে চিয়া বীজে।
ইফতারে চিয়া বীজ দিয়ে বানাতে পারেন কয়েক ধরনের খাবার। যেমন-
চিয়া পুডিং: গরুর দুধ বা যে কোনও ধরনের দুধের মধ্যে ভেজানো চিয়া বীজ, মধু বা মেপ্ল সিরাপ মিশিয়ে সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিন। পরের দিন সকালে বিভিন্ন রকম ফল,বাদাম কিংবা বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন।
স্মুদি বা ফলের রস : ফলের রস বা স্মুদির পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যেতে পারে চিয়া মেশালে। চিয়ার মধ্যে থাকা ফাইবার এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজের জোগান দেয়। আলাদা করে খেতে ভাল না লাগলে এভাবে খেতে পারেন চিয়া বীজ।
বেকিং : বাড়িতে তৈরি কেক, মাফিন, পাউরুটির মধ্যে ব্যবহার করাই যায় চিয়া। যারা ‘এগলেস’ কেক খান, তারা কেকের মিশ্রণে ডিমের বদলে পানিতে ভিজিয়ে রাখা চিয়া ব্যবহার করতেই পারেন।