আগামী পরশু রোববার থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। বিশ্বকাপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাইভোল্টেজ ম্যাচ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ।
সীমান্ত সমস্যার কারণে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ রয়েছে একযুগ ধরে। বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপ ছাড়া তাদের দেখা সাক্ষাৎ হয়না। ক্রিকেট ভক্তরা অধীর আগ্রহে বসে থাকেন ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট মাঠের লড়াই দেখার জন্য।
অথচ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেই জঙ্গি হামলার হুমকি রয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে হামলার হুমকি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস।
এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ও বিশ্বকাপের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের নাসাউ কাউন্টি পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণই নেই। ৯ জুন ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচে স্টেডিয়ামে জঙ্গি কেন, সাধারণ দর্শক এবং ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্কিত লোকজন ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
এ ব্যাপারে নাসাউ কাউন্টির কমিশনার প্যাট্রিক জে রাইডার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি এই গ্যারান্টি দিতে পারি যে, ৯ জুন নাসাউ কাউন্টিতে স্টেডিয়ামের ভিতরে ম্যাচ হলে, কোনও ভয়ের সম্ভাবনা নেই।’
একই কথা বলেছেন নিউইয়র্কের প্রথম নারী গভর্নর ক্যাথি হোচুল। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপে যাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন এবং পুলিশ একযোগে কাজ করছে। আমি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগকে নিরাপত্তা বাড়াতে বলেছি। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নজরদারি চালিয়ে যাব।’
এ ব্যাপারে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কিথ রাউলি বলেছেন, ‘জঙ্গি হামলার হুমকি ২১ শতকের সবচেয়ে বড় বিপদ। দুষ্কৃতীকারীরা যে কোনও রাস্তা নিতে পারে। তাই জঙ্গি হুমকি পুরোপুরি ঠেকানো কার্যত অসম্ভব।’
পরে এক যৌথ বিবৃতিতে আইসিসি এবং ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ বলেছে, ‘আমরা আয়োজক দেশ এবং প্রশাসনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছি। সবকিছু মাথায় রাখা হচ্ছে। কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নই।’