উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডাকে হারাল যুক্তরাষ্ট্র

0
70

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ কানাডার দেওয়া বড় সংগ্রহকে মামুলি বানিয়ে জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন আন্দ্রেস গুস ও অ্যারন জোনস। গুস আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত দলের জয় নিশ্চত করে মাঠ ছাড়েন জোনস। এদিন টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ডও গড়ে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে সর্বোচ্চ ১৬৯ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল এই জুটির।
রোববার (২ জুন) নিউইয়র্কের ডালাসে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। টস হেরে আগে ব্যাট করে নাভনিত ধালিওয়াল ও নিকোলাস কিরটনের হাফসেঞ্চুরিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে ১৯৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় কানাডা। জবাবে আন্দ্রেস গুস ও অ্যারন জোনসের তাণ্ডবে ১৪ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে যুক্তরাষ্ট্র।
কানাডার দেওয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দলীয় ৪২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। তৃতীয় উইকেটে গুস ও জোনস জুটি বেঁধে দলের সব শঙ্কা দূর করে দেন। ম্যাচের সময় যতই বাড়ছিল এ দুই ব্যাটার খোলস ছেড়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত দলীয় ১৭৩ রানে গুসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নিখিল দত্ত। তার আগে গুস ৪৬ বলে ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন।
চতুর্থ উইকেটে কোরি অ্যান্ডারসনকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন অ্যারন জোনস। তিনি ৪০ বলে ১০ ছক্কা ও ৪ চারে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ শেষে জোনসের ৬ রানের আক্ষেপ থেকে গেল। কোরি অ্যান্ডারসন অপরাজিত থাকেন ৩ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে কানাডাতে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন অ্যারন জোন্স ও নাভনিত ধালিওয়াল। এ দুজন প্রথম ৩২ বলেই স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৪৩ রান। জোন্স ১৬ বলে ২৩ রান করে হারমিতের শিকার হলে ভাঙে জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে নেমে পারগাত সিং বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। দলীয় ৬৬ রানে ৫ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়েন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে ধালিওয়াল ও নিকোলাস কিরটন ৬২ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। দলীয় ১২৮ রানে ধালিওয়ালকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কোরি অ্যান্ডারসন। অবশ্য তার আগে ধালিওয়াল ৪৪ বলে ৩ ছক্কা ও ৬ চারের সাহায্যে ৬১ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন। এটি ৯ম আসরের প্রথম অর্ধশতক। চতুর্থ উইকেটে কিরটন উইকেটরক্ষক ব্যাটার শ্রেয়াস মোভাকে সঙ্গে নিয়ে ৩১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। তবে দলীয় ১৫৯ রানে ব্যক্তিগত ৫১ রান করে আলী খানের শিকারে পরিণত হন তিনি। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২ ছক্কা ও ৩ চারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here