প্রথম দুই ম্যাচ জয়ে ইতিহাস আগেই গড়েছিল আফগানিস্তান। রশিদ খানদের সামনে সুযোগ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবারের মতো ধবলধোলাই করার। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি, শেষ ওয়ানডেতে লজ্জা এড়িয়েছে প্রোটিয়ারা।
সিরিজ আগেই নিশ্চিত করা আফগানরা তৃতীয় ম্যাচে সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে পারেননি। রোববার দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পেয়েছে ৭ উইকেটে। আফগানদের দেয়া ১৭০ রানের লক্ষ্য ১৭ ওভার হাতে রেখেই পেরিয়েছে প্রোটিয়ারা।
শারজাহতে অবশ্য শেষ ম্যাচে আফগান একাদশে ছিলেন না আগের ম্যাচে ৫ উইকেট নেয়া রাশিদ খান। হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যায় শেষ ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। আর বিশ্রাম দেয়া হয় প্রথম ম্যাচের নায়ক ফজলে হক ফারুকিকে।
তবে আগের ম্যাচ যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই যেন ফের শুরু করেন রাহমানউল্লাহ গুরবাজ। ৯৪ বলে ৮৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেললেন তিনি। তবে তিনি ছাড়া দলের আর কেউ ব্যাট হাতে দাঁড়াতেই পারেননি। ব্যস্ত ছিলেন আসা যাওয়ায়।
গুরবাজের ইনিংস বাদে দলের হয়ে দ্বিতীয় সেরা রান আসে মোহাম্মদ গাজাফারের ব্যাটে। ১৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। বাকিদের মাঝে কেবল দুই অংক (১০) ছুঁয়েছেন হাশমতুল্লাহ শাহিদি। জোড়া উইকেট নেন ফেলকাও, এনগিডি ও পিটার।
মামুকি লক্ষ্যতাড়ায়ও শুরুটা বেশ সাবধানী ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। গত দুই ম্যাচে ১০৬ এবং ১৩৪ রানে অলআউট হবার ধাক্কা সামলে নিতে সময় লেগেছে তাদের। তবে টেম্বা বাভুমা আর ডি জর্জির ওপেনিং জুটিতে গড়ে উঠে জয়ের ভিত, আসে ৪০ রান।
নবম ওভারের বাভুমাকে (২২) ফেরান গাজনফর। দ্বাদশ ওভারে জর্জি ফেরেন মোহাম্মদ নবির শিকার হয়ে। ৩১ বলে ২৬ রান আসে তার ব্যাটে। দলীয় ৮০ রানের মাথায় রেজা হেন্ড্রিকসও ফেরেন। থিতু হয়েও ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
তবে প্রোটিয়াদের কোনো বিপদেই পড়তে দেননি মার্করাম। ৬৭ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। ট্রিস্টান স্টাবসের সাথে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ৯০ রানের জুটি। ৪২ বলে ২৬ করে অপরাজিত থাকেন স্টাবস।
ফলে সিরিজ হাতছাড়া করলেও শেষ ম্যাচে স্বস্তির জয়ে মান বাঁচাল দক্ষিণ আফ্রিকা। এই সিরিজের আগে যাদের বিপক্ষে সব সংস্করণ মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচে কোনো হার ছিল না প্রোটিয়াদের, এবার সেই তাদের কাছেই কিনা ধবলধোলাই হতে চলেছিলো।