‘আমি চার-পাঁচ ম্যাচ বেশি খেললে দেশের ক্রিকেটের কী উপকার হবে’

0
29

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ না পাওয়ার পর থেকেই জাতীয় দলে তামিম ইকবালের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সে আলোচনা এখনো চলছে। ক্রিকেটকে বিদায় বলার আগেই পুরোদস্তুর ধারাভাষ্যকার বনে গেছেন তামিম। চলতি বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট সিরিজে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন তিনি। এর ফাঁকেই ভারতীয় গণমাধ্যম স্পোর্টস্টারের সঙ্গে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের ইস্যু নিয়ে খোলামেলা আলাপ করলেন তামিম।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষপদে পরিবর্তন এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে সভাপতির পদে থাকা নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করেছেন। তার জায়গা নিয়েছেন ফারুক আহমেদ। বোর্ডের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসার পর বিসিবিতে আসা-যাওয়া বেড়েছে তামিমের। নতুন বোর্ড সভাপতিও তাকে পুনরায় জাতীয় দলে দেখার আশাবাদ জানিয়েছেন।
তবে জাতীয় দলে ফেরার ভাবনাকে তামিম কীভাবে দেখছেন। তিনি কি আদৌ জাতীয় দলে ফিরতে চান, এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তামিম স্পোর্টস্টারকে বলেছেন, ‘আমি যেভাবে শেষ করেছি, তা সুখকর ছিল না। সুতরাং, আমার ফিরে আসা এবং খেলার জন্য একটি উদ্দেশ্য থাকা দরকার। আমি এমন কেউ নই যে, ফেরার জন্য ফিরে আসবো এবং তারপরে মাত্র চার বা পাঁচটি ম্যাচ খেলবো। খেলার কারণটা কী? আমি যদি পাঁচটি ম্যাচ খেলি, তাহলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কী উপকার হবে? যদি একটি সঠিক পরিকল্পনা থাকে, তবে আমি এ নিয়ে ভাবতে পারি এবং আমরা সেই অনুযায়ী কথা বলতে পারিৃ।’
২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে কেন্দ্র করে তার ফেরার সম্ভাবনা আছে কিনা সে বিষয়ে তামিমের পরিষ্কার জবাব, ‘এখন, আপনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা বলছেন, যেখানে আপনার চার থেকে পাঁচটি ওয়ানডে থাকবে বড়জোর এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিনটি আছে। মূলত, আপনি ছয় থেকে সাতটি খেলার কথা বলছেন। আমি যে জায়গা থেকে সরে এসেছি এবং অন্য কেউ আমার ভূমিকা নিয়েছে, তখন আমি মনে করি না যে এই কয়েকটি ম্যাচের জন্য আমার ফিরে আসা বোধগম্য।’
তামিম আরও বলেছেন, ‘তবে, এটা ভিন্ন জিনিস। যদি তারা (বিসিবি) আমাকে বলে যে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে চাই বা অন্তত আমরা সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে চাই এবং সম্ভবত এটাই হবে শেষ টুর্নামেন্ট যেখানে তিন বা চারজন সিনিয়র খেলোয়াড় খেলবে। পার্থক্য যাই হোক না কেন খেলবে এবং বিসিবি তা ঠিক করবে। এভাবেই আসলে প্রস্তাবটা আসতে হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here