গেল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ টেনেছেন ১৭ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারের। যেখানে প্রাপ্তি অনেক থাকলেও শূন্যতা নেহায়েত কম নয়। তবে কোনো আক্ষেপ নেই রিয়াদের। যদিও এই লম্বা সময়ে পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মাহমুদউল্লাহ। জানান আগামী শনিবার ভারতের বিপক্ষে চলমান সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে এই ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি।
আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অবসরের ঘোষণার পর আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আবেগঘন এক বার্তা দিয়েছেন টাইগার এই অলরাউন্ডার।
সেখানে তিনি লিখেছেন ‘আলহামদুলিল্লাহ! বাংলাদেশ দলের হয়ে আমার প্রতিটি মুহূর্ত ছিল অনেক সম্মান ও গৌরবের। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে, আমার সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের, সতীর্থদের এবং বিশেষ করে আমার পরিবারের সদস্যদের প্রতি।’
তবে দীর্ঘ ১৭ বছরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে মোটেও আক্ষেপ নেই মাহমুদউল্লাহর। গতকাল সংবাদ সম্মেলনেই যা স্পষ্ট করেন তিনি। এত উত্থান-পতনের মধ্যে কোনো আক্ষেপ আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে অপূর্ণতা বা অতৃপ্তি থাকলেও কোনো আক্ষেপ নেই বলে জানিয়েছেন।
মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, কোনো আক্ষেপ নেই। বাংলাদেশের হয়ে খেলার একটি মুহূর্তও আক্ষেপ করি না। এক ফোটাও আক্ষেপ নেই। বাংলাদেশের হয়ে এত বছর খেলেছি, ব্যক্তিগতভাবে যা আমার জন্য খুবই ভালো ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি ২০০৭ সাল থেকে টি-টোয়েন্টি যতটুকু খেলেছি, জানি না কতটা পেরেছি, তবে আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি।’
প্রায় দেড় যুগের এই ক্যারিয়ারে ব্যক্তিগত অর্জনে কমতি না থাকলেও আছে ট্রফি জয়ের শূন্যতা। তা নিয়েও অবশ্য মাহমুদউল্লাহর তেমন অনুশোচনা নাই। ট্রফি জেতা দিয়ে ক্রিকেটারদের মূল্যায়ন করতে নারাজ তিনি।
মাহমুদউল্লাহ আরো বলেন, ‘ট্রফি নেই, এটা অবশ্যই খারাপ লাগার মতো। তবে আমি এ কথাটা মানতে রাজি নই যে আমাদের কোনো অর্জন নেই। যদি ট্রফি জেতাই মানদণ্ড হয়, তাহলে অনেককেই আমরা লিজেন্ড বলতাম না।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভালোর তো শেষ নেই। খেলা জিনিসটাই এমন। যত ভালো করেন, আরো ভালো সুযোগ থাকেই। তবে আমরা যে পরিমাণ ম্যাচ খেলি, ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক, পাশাপাশি যে উইকেটে খেলেছি বাংলাদেশ, সেদিক থেকে খারাপ বলবো না।’