জাতীয় পার্টি ও ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একই সময় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক অপতৎপরতা ও দেশবিরোধী চক্রান্তের’ প্রতিবাদে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র শ্রমিক জনতা’ ব্যানারে মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই বলে জানান বক্তারা। তারা বলেন, রাজনৈতিক অতৎপরতা ও দেশবিরোধী চক্রান্ত এই দেশে হবে না। এরপর তারা জাতীয় পার্টির কার্যালয় ঘেরাও করতে বিজয়নগরে যান। সেখানে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ছাত্র-জনতার। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এরপরই জাতীয় পার্টিকে জাতীয় বেইমান আখ্যা দিয়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে বিজয়নগরের উদ্দেশে মিছিলের ডাক দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম আহŸায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দুটি স্ট্যাটাস দেন হাসনাত। এতে তিনি জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ আনেন। সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিটে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, জাতীয় বেইমান এই জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের পিটিয়েছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এবার এই জাতীয় বেইমানদের উৎখাত নিশ্চিত। কিছুক্ষণ পর আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, রাজু ভাস্কর্য থেকে সাড়ে ৭টায় মিছিল নিয়ে আমরা বিজয়নগর মুভ করব। জাতীয় বেইমানদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে শিক্ষার্থীরা ওই এলাকায় জড়ো হলে সেখানে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজয়নগর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।