বাংলাদেশের কোনো রোগীকে চিকিৎসাসেবা না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর কলকাতার মানিকতলা এলাকার জেএন রায় হাসপাতাল।
শুক্রবার জেএন রায় হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময় তারা বাংলাদেশে ভারতীয় পতাকার অবমাননা এবং দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কথিত অত্যাচারের প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান।
এর আগে ওই দিন বিকেলে মানিকতলার জেএন রায় হাসপাতাল ফেসবুক পোস্টে লেখে, ‘ভারতবর্ষের প্রত্যেকটা হাসপাতাল থেকে এই আওয়াজটা উঠুক।’ ওই পোস্টারে লেখা, ‘আপাতত বাংলাদেশী রোদগী দেখা বন্ধ। ভারতের চিকিৎসায় সুস্থ থেকে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা! এটা হতে পারে না।’
এদিকে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন অনেকে। ভারতের পিয়ারলেস হাসপাতালের সিইও চিকিৎসক সুদীপ্ত মিত্র বলেছেন, ‘আমরা চিকিৎসক হিসেবে তো একথা বলতে পারি না। কারণ, রোগীর প্রথম পরিচয় তিনি অসুস্থ। তবে আগে প্রতিদিন আউটডোরে দেড় শ’ থেকে দু শ’ রোগী আসতেন। এখন সেই সংখ্যা কমে ১০ থেকে ১৫ -তে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশী কোনো রোগী ভর্তি নেই। শুধু এই হাসপাতাল নয়, সব হাসপাতালের ছবিই এক।’
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদ্রোহসহ একাধিক মামলায় ২৫ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
চিন্ময় দাসকে গ্রেফতারের পর চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করে তার সমর্থকরা। এরপর বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ইসকনকে একটি ‘উগ্রবাদী সংগঠন’ হিসেবে মনে করা হয়।
এদিকে ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ালে পরিস্থিতি ভিন্ন। গতকাল প্রকাশিত মার্কিন গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ) বাংলার এক জরিপে ওঠে এসেছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মনে করে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের তুলনায় অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে।