মমতার বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি : মির্জা ফখরুল

0
26

বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষী পাঠানো নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী যে বক্তব্য রেখেছেন তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরুপ মন্তব্য করে অবিলম্বে এই ধরনের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার রাতে লন্ডন থেকে মোবাইল ফোনে গণমাধ্যমের কাছে দলের পক্ষে বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘সকালে কয়েকটি পত্রিকায় একটা সংবাদ দেখলাম, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখমন্ত্রী বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। তিনি যে উক্তি করেছেন সে বিষয়ে আমি বক্তব্য না রেখে পারছি না। তিনি (মমতা ব্যানার্জী) বাংলাদেশে শান্তিবাহিনী পাঠানোর যে কথা বলেছেন, এটা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি একটা হুমকিস্বরুপ এবং আমরা মনে করি, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নেতৃবর্গের যে দৃষ্টিভঙ্গি তা কিছুটা হলেও প্রকাশিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার এই বক্তব্য তার অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। এই ধরনের কোনো চিন্তা করাও তাদের উচিত হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে এবং সম্প্রতি একটা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তারা গণতন্ত্রকে ফিরে পেয়েছে। এ দেশের মানুষ যেকোনো মূল্যে এই ধরনের চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ হওয়া বা বিপন্ন হওয়ার যে অলীক কাহিনী ভারতীয় মিডিয়াগুলোতে প্রচারিত ও প্রকাশিত হচ্ছে তা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বার বার বলেছি, এখানে ভারতের সাংবাদিকরা এসছিলেন তারাও দেখেছেন। পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের অনেক নামকরা সাংবাদিক এসেছিলেন তারা দেখেছেন বাংলাদেশে এই ধরনের কোনো পরিস্থিতি নেই। অথচ ভারতের মিডিয়া ও তাদের নেতৃবর্গ যেভাবে সম্পূর্ণ একটা মিথ্যাকে প্রচার করছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি দিচ্ছেন তা কোনোমতেই বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, অতি সম্প্রতি ইসকনকে (বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) নিয়ে যে এখানে (বাংলাদেশে) নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয়েছে তা বাংলাদেশের মানুষ কখনোই গ্রহণ করবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘এটা খুব পরিস্কার যে ইসকনের সাম্প্রতিক ভূমিকা অত্যন্ত সন্দেহজনক ও রহস্যজনক এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকিস্বরুপ।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here