দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘেরাওয়ের ঘোষণা আরএসএসের

0
23

এবার দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘসহ (আরএসএস) দুই শতাধিক সংগঠন। আগামী ১০ ডিসেম্বর এই ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে ‘ফরেন অফিস কনসালটেশন’–এর (এফওসি) বৈঠকে যোগ দিতে বিক্রম মিশ্রি ঢাকা যাচ্ছেন ৯ ডিসেম্বর। এর এক দিন পরই ১০ ডিসেম্বর ‘সিভিল সোসাইটি অব দিল্লি’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘেরাও করবে বলে জানানো হয়েছে।

দিল্লি নাগরিক সমাজের ব্যানারে বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নেয়া হলেও উদ্যোগটা প্রধানত আরএসএসের। আরএসএসের দিল্লি শাখার গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনার সহপ্রধান রজনীশ জিন্দাল গতকাল শুক্রবার দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলন করে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, নাগরিক সমাজের এই কর্মসূচি ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়।

রজনীশ অভিযোগ তুলে বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর ওপর অত্যাচারের ঘটনায় সারা ভারত ক্ষুব্ধ। ওই কর্মসূচিতে দেশের ২০০টির বেশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। বাংলাদেশ হাইকমিশনে তাঁরা এক স্মারকলিপি পেশ করবেন।

স্মারকলিপি দেবেন জাতিসঙ্ঘ, জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কাছেও। প্রত্যেককে বলা হবে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

এই কর্মসূচি ঘোষণা নিশ্চিতভাবেই ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সফরের ওপর ছায়া ফেলবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র অনুযায়ী, বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফর ‘স্ট্রাকচার্ড’ হলেও ওই সফরের প্রধান উদ্দেশ্য সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তোলার পাশাপাশি সংখ্যালঘু স্বার্থ ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কাজেই ভারত চাইবে না, এমন কিছু হোক, যা পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তোলে। নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here