ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশী নারী ক্রিকেটার

0
8

বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবারো ফিক্সিং কাণ্ড। আবারো লাল-সবুজের পতাকায় লেপন হলো কলঙ্ক। এবার দেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন সোহেলি আক্তার। যার জেরে পেয়েছেন বড় শাস্তি। হয়েছেন ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ।

আইসিসির দুর্নীতি দমন কোডের পাঁচটি বিধান লঙ্ঘন করেছেন সোহেলি। যার দায়ে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হলেন তিনি। আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।

সোহেলির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শুরু হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সাল থেকে। যা চলবে ২০৩০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ফলে বলাই যায় এক প্রকার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেল সোহেলির।

২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

ওই সময় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের কোনো এক ক্রিকেটারকে মোবাইল ফোনে ফিক্সিংয়ের বার্তা পাঠান সোহেলি। তবে তাতে রাজি হননি ওই ক্রিকেটার, উল্টো তিনি আইসিসির দুর্নীতি কমিশনকে এ কথা জানিয়ে দেন।

তাদের দু’জনের কথোপকনের অডিও ফাঁস হয়ে যায়। সেখানে জানা যায়, জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটার সোহেলি আক্তার বিশ্বকাপ দলের এক সদস্যকে নিয়মবহির্ভূত প্রস্তাব দেন। কিন্তু সেই ক্রিকেটার প্রস্তাবে রাজি হননি।

জাতীয় দলে থাকা সেই ক্রিকেটার ঘটনাটি দ্রুত টিম ম্যানেজমেন্টকে জানান। টিম ম্যানেজমেন্ট পরে বিষয়টি বিসিবিকে জানায়। বিষয়টি দ্রুত আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের (এসিইউ) নজরেও আনা হয়।

এরপর নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি দুই বছর তদন্ত করেছে এসিইউ। আর মোট পাঁচটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে শাস্তি দেয় তারা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের হয়ে সব মিলিয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি ও ১৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন সোহেলি আক্তার। সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে তিনি খেলেছেন ২০২২ সালে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here