জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ১৯১ রানেই অলআউট

0
40
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ১৯১ রানেই অলআউট
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ১৯১ রানেই অলআউট

সিলেট টেস্টের প্রথম দিনেই ১৯১ রানেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠও যেন অচেনা হয়ে উঠেছে টাইগারদের কাছে। জিম্বাবুয়ের বোলারদের কাছে একে একে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল থেমেছে ১৯১ রানে। ৬১ ওভারের বেশি খেলতে পারেনি বাংলাদেশ।

এর আগে সিলেটে বছরের প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার পর মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান জাকের আলী লড়ছিলেন হাসান মাহমুদকে নিয়ে। হাসান মাহমুদ ৩০ বলে ১৯ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়েছেন। এরপর আউট হন জাকের আলিও। তিনি ৫৯ বলে ২৮ মাধেভেরের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন সাজঘরে ফেরেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ।

উইকেটে থিতু হয়েও উইকেট দিয়ে এসেছেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। ৩২ রানে এই দুজনকে হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে ৬৬ রান যোগ করেন মুমিনুল হক ও শান্ত। ৯৮ রানের মাথায় তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে বিদায় নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক (৪০)।

বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও। দলের হয়ে একমাত্র ফিফটি হাঁকানো মুমিনুল (৫৬) পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন ১৩৬ রানে। দলীয় ১৪৬ রানের মধ্যে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ আর তাইজুল ইসলামও।

দলীয় ১৮৭ রানে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে হাসানের (১৯) পতনের পর বাকি ২ উইকেট হারাতেও সময় লাগেনি বাংলাদেশের। ১৯১ রানেই অলআউট হয় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

জিম্বাবুয়ের হয়ে বল করেছেন পাঁচ বোলার। তাদের মধ্যে রিচার্ড এনগারাভা ছাড়া সফল ছিলেন সবাই। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ২টি উইকেট নিয়েছেন ভিক্টর নিয়াচি। আর ওয়েসলে মাধেভেরে ৩ ওভার বল করে ২ মেডেনসহ মাত্র ২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।

লাল বলের ক্রিকেট দুই দলের সর্বশেষ দেখা হয়েছে ২০২১ সালে। জিম্বাবুয়ের মাটিতে সেই টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ জিতেছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ২০১৮ সালে টেস্ট জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। সেই টেস্টটি হয়েছিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, সেটি ছিল আবার সিলেট ভেন্যুর প্রথম টেস্ট।

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, জাকের আলী (উইকেটরক্ষক), তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও খালেদ আহমেদ।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: বেন কারান, ব্রায়ান বেনেট, নিকোলাস ওয়েলচ, শন উইলিয়ামস, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ওয়েসলি মাধেভেরে, নিয়াশা মায়াভো (উইকেটরক্ষক), ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা, ব্লেসিং মুজারাবানি ও ভিক্টর নিয়াউচি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here