৫০০ কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগে ওয়ান ফার্মা, ল‌ক্ষ‌্য ওষুধ রপ্তানি

0
22
৫০০ কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগে ওয়ান ফার্মা, ল‌ক্ষ‌্য ওষুধ রপ্তানি
৫০০ কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগে ওয়ান ফার্মা, ল‌ক্ষ‌্য ওষুধ রপ্তানি
বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে রপ্তানি বাজার স¤প্রসারণে নতুন মাইলফলক যোগ করতে যাচ্ছে ওয়ান ফার্মা লিমিটেড। বর্তমানে তিনটি দেশে ওষুধ রপ্তানি করলেও আগামী তিন বছরের মধ্যে নতুন করে আরও ১০টি দেশে রপ্তানি শুরুর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ করছে প্রতিষ্ঠান‌টি।শুক্রবার ওয়ান ফার্মার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোম্পানিটি বর্তমানে তিনটি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। আরও কয়েকটি দেশে রপ্তানি করতে প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে চায় তারা। ওয়ান ফার্মা ও এগ্রিকেয়ারের চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন দেশে ওষুধ রপ্তানি করছি। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে নিজস্ব প্রযুক্তিতে উৎপাদিত ওষুধ এখন দেশেই কম দামে সরবরাহ করছি, যা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে সহায়তা করছে।চেয়ারম্যান জানান, কোম্পানি বর্তমানে আফগানিস্তান, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কায় ওষুধ রপ্তানি করছে। আলজেরিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন অনুন্নত দেশের সঙ্গে নতুন করে রপ্তানির আলোচনা চলছে। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য, আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে আরও ১০টি দেশে পণ্য পাঠানো। টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে পথ চলার অঙ্গীকার বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে রপ্তানি বহুমুখীকরণের চেষ্টা থাকবেওষুধ খাতে নতুন মাত্রা যোগ করতে প্রতিষ্ঠানটি ক্যান্সারের জন্য বায়োটেক ওষুধ উৎপাদনের প্লান্ট স্থাপন করছে। এরই মধ্যে কিছু যন্ত্রপাতি স্থাপন হয়েছে এবং আরও যন্ত্রপাতি আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দেশে উৎপাদিত ক্যান্সারের ওষুধ স্বল্পমূল্যে বাজারে সরবরাহ করা যাবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও রপ্তানির দরজা খুলবে ব‌লে জানান ওয়ান ফার্মার চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার।কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৫ সালে এই ওষুধ কোম্পানি বগুড়ার বিসিক শিল্পনগরীতে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এই ওষুধ কারখানায় ২০০ শ্রমিক কাজ করছে। শতাধিক জেনেরিক ওষুধ এখন তৈরি করছে কোম্পানিটি। ওয়ান ফার্মার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ২০১৮ সালে ওষুধ রপ্তানি শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৪ সালে আফগানিস্তানে ২ মিলিয়ন ডলারের ওষুধ রপ্তানি করা হয়েছে। চলতি বছরে ৩ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার রয়েছে। মিয়ানমারে রপ্তানির পরিমাণ ৫০ হাজার ডলার।তিনি আরও বলেন, আমরা ১০০টি দেশে রপ্তানির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। বর্তমানে আমাদের বার্ষিক টার্নওভার ১৫০ থেকে ১৮০ কোটি টাকা। গত বছর প্রবৃদ্ধি ছিল ৬১ শতাংশ। বর্তমানে আফগানিস্তান ও মিয়ানমারে রপ্তানি হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা থেকে রপ্তানি আদেশ দিয়েছে। এই তিন দেশে এখন রপ্তানি হচ্ছে। ক্যান্সারের ওষুধ উৎপাদন শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে বলে জানান ওয়ান ফার্মার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা।বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ২৬৯টিরও বেশি ছোট-বড় ওষুধ কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ১৬৪টি কারখানা নিয়মিতভাবে ওষুধ উৎপাদন করে যাচ্ছে। এসব কারখানায় প্রায় ৫ হাজার ব্র্যান্ডের ৮ হাজারেরও বেশি ওষুধ উৎপাদন করা হচ্ছে।কোম্পানির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রæপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওয়ান ফার্মা। এই গ্রæপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার। দেশে ফসল উৎপাদন বাড়াতে ২০০২ সালে যাত্রা শুরু করে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার। তাদের এই কোম্পানি তখন থেকেই উচ্চ ফলনশীল জাতের দেশি বীজ বাজারে সরবরাহ করে আসছে। কোম্পানিটি এখন ধান, ভুট্টা ও সবজির উচ্চ ফলনশীল বীজ উৎপাদন করে বাজারে ছাড়ছে।কোম্পানির হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট আবুল হাসান বলেন, আমরা প্রথম স্পেলেন্ডার ব্র্যান্ডের ওয়াটার ডিসপোজাবল গ্রানুলা কীটনাশক উৎপাদন করে বাজারে ছাড়ছি। এর ফলে অনেকে নিরাপদে এই কীটনাশক ব্যবহার করছে। কারণ এটি পাউডার ফ্রি হওয়ায় ব্যবহারে কোনো ক্ষতি নেই

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here