অবরুদ্ধ গাজায় অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও ১১ মৃত্যু

0
11
অবরুদ্ধ গাজায় অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও ১১ মৃত্যু
অবরুদ্ধ গাজায় অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও ১১ মৃত্যু

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজায় অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগে আরও ১১ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে গাজায় অনাহারজনিত কারণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২১২-তে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৯৮ জনই শিশু।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, শনিবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশ করছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে থাকা জাতিসংঘের সংস্থাগুলো সীমান্ত থেকে ত্রাণ নিয়ে তা বিতরণ করছে না। বিপরীতে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা অভিযোগ করেছে যে, ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত সীমান্ত থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে তারা ক্রমাগত বাধা ও বিলম্বের শিকার হচ্ছে।

ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়েও ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলি বাহিনীর গুলির শিকার হতে হচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ২১ জন নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত নতুন সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে মারা গেছেন। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তাদের বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিকদের ওপর গুলি চালায় না। ইসরায়েল গাজায় স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহের অনুমতি না দেওয়ায় এসব দাবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব নয়।

ইসরায়েল সম্প্রতি একটি বিতর্কিত পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে তারা গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেবে। ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা এই পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে বাসিন্দাদের শহরটি ছেড়ে যাওয়ার জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হতে পারে। এই পরিকল্পনার কারণে ইসরায়েলের ভেতরেও তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, কারণ সামরিক কর্মকর্তারা এবং জিম্মিদের পরিবারের অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, এটি এখনো জীবিত থাকা ২০ জিম্মির জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here