মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে গত শুক্রবার কয়েক ঘণ্টার বৈঠকে পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কিছু শর্ত দেন।
ইউরোপীয় নেতাদের বরাতে সংবাদমাধ্যম সিএনএন রোববার (১৭ আগস্ট) এমনটি জানিয়েছে।
পুতিন ট্রাম্পকে জানান, ইউক্রেন যদি যুদ্ধ বন্ধ চায় তাহলে তাদের পূর্বাঞ্চলের পুরো দনবাস রাশিয়াকে দিয়ে দিতে হবে।
এর বদলে তিনি ইউক্রেনের অন্যান্য সম্মুখ সারির যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন। যার মধ্যে খেরসন ও জাপোরিঝিয়াও থাকবে। এছাড়া ইউক্রেন বা ইউরোপের অন্য কোনো দেশে হামলা চালাবেন না বলেও কথা দেন তিনি।
এছাড়া পুতিন শর্ত দেন রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব রয়েছে ‘সেটির মূল কারণ’ সমাধান করতে হবে। যার অর্থ- ইউক্রেনকে তার সেনাবাহিনীর আকার ছোট করতে হবে, সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাদ দিতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে।
পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাম্প যখন ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে অবহিত করা শুরু করেন তখন পুতিনের শর্তগুলো স্পষ্ট হতে থাকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যদি পুতিনের শর্ত পূরণ হয় তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ হওয়া সম্ভব। হোয়াইট হাউজে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে ইউরোপীয় নেতারা জানিয়েছেন, যখন ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ হবে তখন দেশটিকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে কী ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়া হবে সেটি স্পষ্ট নয়। তাদের আশঙ্কা, ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক খুব বেশি আশার সঞ্চার করতে পারেনি। বরং আলোচনার বিষয়ে গোপনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন ট্রাম্প।