চলমান বায়ুদূষণ ও বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগ বৃদ্ধির ফলে ফুসফুসের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে, বাতাসে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ধূলিকণার সরাসরি আঘাত প্রথমে ফুসফুসেই লাগে। এর ফলে শ্বাসকষ্ট, সংক্রমণ, অ্যাজমা, সিওপিডি এমনকি ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ে।
লেবু
লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস পান করলে ফুসফুসে জমে থাকা বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সহায়তা করে।
আদা
আদার প্রদাহনাশক উপাদান ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি শ্লেষ্মা পরিষ্কার করে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর।
হলুদ
হলুদের কারকিউমিন উপাদান ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে ও সংক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। রাতে দুধের সঙ্গে হলুদ খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
রসুন
রসুনে থাকা অ্যালিসিন প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এটি ফুসফুস পরিষ্কার করে এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
তুলসী
আয়ুর্বেদে তুলসীকে ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। তুলসী পাতা বা তুলসীর চা শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতে সহায়ক।
পর্যাপ্ত পানি পান
পর্যাপ্ত পানি পান শরীর থেকে দূষিত উপাদান বের করতে সাহায্য করে। এটি বুকে জমে থাকা কফ বা সর্দি পাতলা করতেও কার্যকর।
ধূমপান পরিহার
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুসফুসের সমস্যার বড় একটি কারণ ধূমপান। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ—দুই ধরনের ধূমপানই ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করে।
ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখা
ঘরের ভেতরের সূক্ষ্ম ধূলিকণাও ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে। নিয়মিত ঘর পরিষ্কার রাখা এবং প্রয়োজন হলে বাতাস পরিশোধন যন্ত্র ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঘরে গাছ রাখা
ঘরের ভেতর কিছু সবুজ গাছ রাখলে বাতাস বিশুদ্ধ থাকে এবং অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ে, যা ফুসফুসের জন্য উপকারী।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এসব অভ্যাস নিয়মিত মেনে চললে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ভালো থাকে এবং শ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।




