মাংসের ঝোল হোক বা ডিমের কারি, এমনকী নানা নিরামিষ রান্নাতেও এই বিশেষ উপাদানটি ব্যবহার করা হয়। বলতে গেলে, প্রায় প্রতিটি বাঙালি রান্নাঘরে এটি নিয়মিত ব্যবহৃত হয়। এই সহজলভ্য উপাদানটির সাহায্যে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং হার্টের স্বাস্থ্যও ভালো রাখা যায়। পাশাপাশি রয়েছে আরও একাধিক স্বাস্থ্য উপকার। কী এই উপাদান? রসুন।
রসুন সাধারণত রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে এর প্রাকৃতিক গুণের কারণে এটি আরও অনেক উপকার করে। যেমন, প্রদাহ কমানো, ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা। এতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়াও এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, হার্টকে সুস্থ রাখে এবং রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে।
রসুন খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি ও উপকারিতা
খালি পেটে রসুন খাওয়া:প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুন খেলে শরীরে এর সমস্ত পুষ্টি শোষিত হয়। জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, রসুনের রস কোলেস্টেরল প্রায় ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। যাদের LDL বা খারাপ কোলেস্টেরল বেশি, তাদের ক্ষেত্রে এটি ১০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে সক্ষম।
হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক: রসুনে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যালিসিন যৌগ প্রদাহ কমায়, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহজনিত হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
সতর্কতা: তবে এর মানে এই নয় যে আপনি রসুন খেয়ে নিয়মিত ওষুধ বন্ধ করবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ওষুধ বন্ধ করা উচিত নয়।
কীভাবে খাওয়া উচিত রসুন
কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন।
যদি কাঁচা রসুন খেতে অস্বস্তি হয়, তবে একটি কোয়া কুচি করে হালকা গরম জলে ফেলে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন।
এছাড়া রসুনকে স্মুদি বা স্যালাডেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং হার্ট প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়।
এই সাধারণ উপায়ে প্রতিদিন রসুন খাওয়া কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।




