রুমায় চিকিৎসাসেবা পেলেন ৬৪৬ জন চক্ষুরোগী

0
19
রুমায় চিকিৎসাসেবা পেলেন ৬৪৬ জন চক্ষুরোগী
রুমায় চিকিৎসাসেবা পেলেন ৬৪৬ জন চক্ষুরোগী

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসায় সেবা পেলেন ৬৪৬জন। তার মধ্যে ওষুধ ও চশমা গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন ২৮০ জন রোগী। বাকি ২৬২ জন ছানি অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চট্টগ্রামে লায়ন্স হাসপাতালে নিয়ে ছানি অপারেশন করে চক্ষু চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ২নং সদর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এই চক্ষু চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএসমংয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লামং, রুমা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংসিনু মার্মা, রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিরা বম এর নেতৃত্বে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসেবা ক্যাম্প আয়োজন করা হয়।

কার্যক্রমটি উদ্বোধনকালে উদ্বোধক পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং বলেছেন চক্ষু চিকিৎসাসেবা হচ্ছে- মানব জীবনের সবচেয়ে উত্তম সেবা। নিজ মন থেকে এ কথাটি অনুধাবিত হয়ে এর আগে রোয়াংছড়ি উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে তার ব্যক্তিগত সার্বিক ব্যবস্থাপনায় চক্ষু চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।

তার এই ধারাবাহিকতায় নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা ও আলীকদম উপজেলাতেও এই কার্যক্রম পরিচালনা পরিচালনা করা হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ৩৬ বীর রুমা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী সরকার। তিনি বলেছেন চিকিৎসা ক্যাম্পের মাধ্যমে দুর্গম এলাকার মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সেনাবাহিনী সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রীতি বান্দরবানে সব উন্নয়ন কাজে একসাথে কাজ করা গেলে অদূর ভবিষ্যতে সম্প্রীতির পাশাপাশি আরো উন্নয়ন করা সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

সভাপতিত্ব করেন ১নং পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা।

এ চক্ষু চিকিৎসাসেবা ক্যাম্পে সহযোগিতা করেন চট্টগ্রাম লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সৌমেন তালুকদার তার চিকিৎসক দল।

শিক্ষা ও মানবসেবা সংস্থা কোয়ান্টামের পরিচালক সাইফুর রহমান জুয়েল জানান এর আগেও বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম লায়ন্স হাসপাতালের এমন চিকিৎসা কার্যক্রমে তারা সহযোগিতা প্রায় সময় করে আসছেন। তাদের ও এ সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ক্যাম্পে দুই শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চোখের প্রাথমিক চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চশমা পেয়েছেন।

এছাড়াও ২৬২ জন চক্ষু রোগীকে চোখের ছানি অপারেশন প্রয়োজন, তাদেরকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামের লায়ন্স দাতব্য চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য সম্পূর্ণ বিনা খরচে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

এদিকে চক্ষু চিকিৎসা চলাকালে ৩৬ বীর রুমা জোনের উদ্যোগে তোমার সদর ইউনিয়ন পরিষদের মিলনায়তনে বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। এতে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন ৩৬ বীর রুমা জোনের এসএমসি, আরএমও চিকিৎসক ক্যাপ্টেন মো. সোহাগ মিয়া সজীব, এবং এএমসি, আর এম ও ক্যাপ্টেন ওমর ফারুক। চক্ষু রোগী ব্যতীত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন।

স্থানীয়রা জানায়, পাহাড়ি এলাকার মানুষদের জন্য এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়- এতে অনেক দরিদ্র্য মানুষ ঘরে বসেই কাঙ্ক্ষিত চক্ষু চিকিৎসাসেবা পেয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here