যে ১০ আমল করলে হজের সওয়াব পাবেন

0
10
যে ১০ আমল করলে হজের সওয়াব পাবেন
যে ১০ আমল করলে হজের সওয়াব পাবেন

হজ মানুষকে আত্মিক প্রশান্তি দেয়। সরাসরি আল্লাহর ঘর দেখার মাধ্যমে বান্দা রবের আরও নিকটবর্তী হয়। কিছু কিছু আমল আছে যা মানুষকে হাজিদের হজের সমান সওয়াব পাওয়ার সৌভাগ্য এনে দেয়।

এমন কিছু আমল তুলে ধরা হলো—

১. ফজরের পর ইশরাক পর্যন্ত আল্লাহর জিকির করা।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জামাতে ফজরের নামাজ আদায় করে এবং নামাজের স্থানে বসে থেকে আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকে, সূর্য ওঠার পর দুই রাকাত নামাজ পড়ে, তার জন্য পূর্ণ হজ ও ওমরার সাওয়াব লেখা হয়। (তাবারানি, আত-তারগিব)

তিনি তিনবার ‘পূর্ণ’ শব্দটি উচ্চারণ করে গুরুত্ব বুঝিয়েছেন।

২. ধর্মীয় ও দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করা।

নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি শুধু ভালো কিছু শিখতে বা শেখাতে মসজিদে যায়, তার জন্য পূর্ণ হজের সওয়াব রয়েছে।

৩. জামাতে নামাজ আদায় করা।

নবী (সা.) বলেন, আল্লাহ কি তোমাদের জন্য ইশার জামাতের নামাজকে হজের সমান এবং ফজরের জামাতকে ওমরার সমান করে দেননি? (মুসলিম)

৪. জুমার নামাজে অংশগ্রহণ।

সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যিব (রহ.) বলেন, আমার কাছে জুমার নামাজ আদায় করা নফল হজের চেয়ে অধিক প্রিয়।

৫. ঈদের নামাজ আদায় করা।

একজন সাহাবি বলেছেন, ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা ওমরার সমান এবং ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করা হজের সমান।

৬. কোনো মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করা।

হাসান বসরি (রহ.) বলেন, তোমার কোনো ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করতে যাওয়া একাধিক হজ করার চেয়েও উত্তম।

৭. পিতামাতার আনুগত্য।

নবী (সা.) এক সাহাবিকে বলেন, তোমার মা-বাবার সেবা করো, তাহলে তুমি হজ, ওমরা ও আল্লাহর পথে জিহাদের সাওয়াব লাভ করবে।

৮. জিকির (আল্লাহর স্মরণ) করা

এক সাহাবির সূত্রে বর্ণিত, যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ পড়ে, সে যেন ১০০ বার হজ করল!

৯. হারাম কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা।

সালাফদের (পূর্বসূরী আলেম) কেউ কেউ বলেছেন, একটুকরো গুনাহ থেকে বিরত থাকা ৫০০ নফল হজের চেয়েও উত্তম।

১০. জিলহজের প্রথম ১০ দিনে যেকোনো ভালো কাজ করা।

জিলহজের প্রথম ১০ দিনের প্রতিটি নেক কাজ অনেক বড় সওয়াব বয়ে আনে।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই নেক আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন এবং প্রকৃত হজ বারবার করার সৌভাগ্য দান করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here