যৌথ মহড়ার মাধ্যমে সামরিক অংশীদারত্বগভীর করবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র

0
17
যৌথ মহড়ার মাধ্যমে সামরিক অংশীদারত্বগভীর করবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র
যৌথ মহড়ার মাধ্যমে সামরিক অংশীদারত্বগভীর করবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী অভিন্ন নিরাপত্তা লক্ষ্য জোরদারের লক্ষ্যে কয়েক দফা যৌথ সামরিক মহড়ার এবং একটি নতুন সক্ষমতা প্রবর্তনের মাধ্যমে এই গ্রীষ্মে তাদের দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব আরও শক্তিশালী করবে।

রোববার মার্কিন দূতাবাস গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী এবং অঞ্চলটিকে আরও নিরাপদ করতে সহায়তা করা।’

মিডিয়া নোটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং মার্কিন সেনা প্যাসিফিক টানা চতুর্থ বছরের মতো টাইগার লাইটনিং মহড়া পরিচালনা করবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের সৈন্যরা সন্ত্রাসবাদ দমন, শান্তিরক্ষা, জঙ্গল অভিযান, চিকিৎসা উদ্ধার অভিযান এবং ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস (আইইডি) মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি গড়ে তুলবে।’

মহড়া টাইগার শার্ক ২০২৫: মিডিয়া নোটে বলা হয়েছে, ‘টাইগার শার্ক (ফ্ল্যাশ বেঙ্গল সিরিজের অংশ) একটি যৌথ প্রশিক্ষণ মহড়া, যেখানে আমাদের দুই দেশের বিশেষ বাহিনী যুদ্ধের অনুশীলন করে।’

২০০৯ সাল থেকে চলমান এই মহড়ায় টহল নৌকা পরিচালনা এবং ছোট অস্ত্রের ব্যবহার থাকবে, যা বাংলাদেশের বিশেষ যুদ্ধক্ষেত্রে ডাইভিং ও উদ্ধার এবং সংকট মোকাবিলায় প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডের সক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে। এই সম্মিলিত মহড়ার অন্যতম আকর্ষণ হলো উভয় দেশের দ্বারা মার্কিন সরঞ্জামের ব্যবহার।

মহড়া প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল: মার্কিন মিডিয়া নোটে বলা হয়েছে, ‘এটি হবে বাংলাদেশের সাথে প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেলের চতুর্থ অনুরূপ মহড়া। এটি আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সি-১৩০ নৌবহরের কর্মকাণ্ড তুলে ধরবে, যা দুর্যোগকালীন সাড়া প্রদানে বিমান থেকে সামগ্রী ড্রপ করা এবং বিমান চলাচল কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ।’

এই মহড়ায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার (এসএআর) এবং অ্যারোমেডিকেল অপারেশনের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করা হবে, যা বাংলাদেশের মানবিক দুর্যোগ মোকাবিলা করার ক্ষমতাকে আরও উন্নত করবে।

আরকিউ-২১ প্রোগ্রামের সূচনা: বাংলাদেশের জন্য মানববিহীন বিমানব্যবস্থা (ইউএএস) সক্ষমতা তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাংলাদেশ রেজিমেন্ট নতুন আরইকউ-২১ ব্ল্যাকজ্যাক সিস্টেম পরিচালনা করবে।

মিডিয়া নোট অনুসারে, এই যৌথ প্রচেষ্টা বাংলাদেশকে তার সামুদ্রিক অঞ্চল পর্যবেক্ষণ, সীমান্ত সুরক্ষা এবং শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনা করতে সক্ষম করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here