দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পদযাত্রা শুরুর আগে গণঅভ্যুত্থানের ২০ জন শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি (এনসিপি)-র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে এনসিপি নেতৃবৃন্দ শহীদ পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শহীদ পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করে বলেন, “শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাশে এনসিপি সবসময়ই আছে।” তিনি যেকোনো সমস্যা হলে এনসিপিকে জানানোর অনুরোধ করেন এবং জানতে চান, পরিবারের সদস্যদের কেউ কোনো হুমকি দিচ্ছেন কিনা বা মামলায় কতজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এ সময় যাত্রাবাড়ী এলাকায় শহীদ মো. সাজিদুর রহমান ওমরের বাবা মো. শাহজাহান জানান যে, তার ছেলে কোরআনে হাফেজ সম্পন্ন করে মাওলানা পড়ার সময় গত ২৪ সালের ২১ জুলাই যাত্রাবাড়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জুলাই শহীদ হন। সাভারের আশুলিয়ায় শহীদ তানজিল মাহমুদ সুজয়ের বাবা শফিকুল ইসলাম ও মা তাহমিনা আক্তার এনসিপি নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তারা সবসময় তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শহীদ পরিবারের সাথে এই মতবিনিময়কালে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাতের পর বেলা সাড়ে ১১টায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শহরের জেলা পরিষদের সামনে থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু হয়। পদযাত্রার নেতৃত্ব দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসাইন। পদযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্ত মঞ্চে শেষ হয়।