জাতীয় পার্টির দুর্গ ভেঙে দিতে প্রার্থী হতে পারেন রিজভী, জামায়াতের কে

0
21
জাতীয় পার্টির দুর্গ ভেঙে দিতে প্রার্থী হতে পারেন রিজভী, জামায়াতের কে
জাতীয় পার্টির দুর্গ ভেঙে দিতে প্রার্থী হতে পারেন রিজভী, জামায়াতের কে
কুড়িগ্রাম-২ আসনে নির্বাচনি হাওয়া বইছে জোরেশোরেই। জাতীয় পার্টির অপ্রতিরোধ্য দুর্গ হিসেবে পরিচিত কুড়িগ্রাম-২ আসন। জেলা সদরের এই আসন ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ। দীর্ঘদিন ধরে আসনটি জাতীয় পার্টির (জাপা) দখলে থাকলেও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে আসনটি দখলে নিতে মরিয়া দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি।

অতীতে প্রয়াত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ থেকে শুরু করে দলের একাধিক প্রার্থী এ আসনে জয়ী হয়েছেন। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভাবনীয় বিজয়ের পর জাপার অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যায়। এবার আসনটি দখলে নিতে আটঘাট বেঁধে মাঠে নামছে বিএনপি। এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। যদিও রুহুল কবির রিজভী এ বিষয়ে কিছুই বলেননি।
ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিস তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বিএনপির প্রার্থী হিসাবে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। দল ও জোটের প্রার্থীর ওপর এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ধরন নির্ধারিত হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। এককভাবে নির্বাচন করলে চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা আছে।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির দুর্গখ্যাত এই আসনটি কবজা করতে তৎপর চারটি রাজনৈতিক দল। যদিও জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক অবস্থা একেবারে নড়বড়ে। তারপরও দলটি নির্বাচনে অংশ নিলে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারে। কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী ও রাজারহাট উপজেলা নিয়ে কুড়িগ্রাম-২ আসন। এ আসনে ২১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৮০ হাজার ৭৩৬, নারী ২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৩ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার তিনজন।
এ আসনে ২০০১ সালে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী তাজুল ইসলাম চৌধুরী। ২০০৮ সালে দলটির সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২ লাখ ৯ হাজার ৫০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এরশাদ আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাফর আলী ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। পরে ২০১৪ সালে তাজুল ইসলাম চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ভোট পেয়ে আসনটি দলের দখলে রাখেন। তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনে পনির উদ্দিন আহমেদকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হামিদুল হক।
রুহুল কবির রিজভী ২০০৬ সালের বাতিল ঘোষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে দলের প্রার্থী ছিলেন। এবারও তিনি প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি ছাড়াও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান হাসিব, সাবেক এমপি উমর ফারুখ, সাবেক পৌর মেয়র আবু বকর সিদ্দিক সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। এর মধ্যে সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ দীর্ঘদিন নির্বাচনি এলাকার আনাচে-কানাচে জনসংযোগ করছেন। বর্তমানে এর গতি আরও বাড়িয়েছেন। শফিকুল ইসলাম বেবু ও হাসিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা। তারা পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছেন। নিয়মিত সভা-সমাবেশ করছেন। জনসংযোগ করছেন উমর ফারুখও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here