সংবিধানের মূলনীতি নিয়ে গণভোটে যেতে হবে : ইসলামী আন্দোলন

0
7
সংবিধানের মূলনীতি নিয়ে গণভোটে যেতে হবে : ইসলামী আন্দোলন
সংবিধানের মূলনীতি নিয়ে গণভোটে যেতে হবে : ইসলামী আন্দোলন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, বিস্ময়কর ব্যাপার হলো সংবিধানের মূলনীতি নিয়ে আলোচনায় ’৭২ এর সংবিধানকে ভিত্তি ধরে আলোচনা করা হচ্ছে। অথচ ’৭২ এ সংবিধান যারা প্রণয়ন করেছেন তারা পাকিস্তানের সংবিধান রচনার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করার জন্য তাদের ম্যান্ডেটই ছিল না।

রোববার (২২ জুন) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

গাজী আতাউর রহমান বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। কিন্তু সংবিধান প্রণয়ন সভায় শুধু একটি দলের প্রতিনিধিত্ব ছিল। যুদ্ধে অংশ নেওয়া অন্যদলগুলোর মতামত সংবিধানে প্রতিফলিত হয়নি। ফলে ’৭২ এর সংবিধান একক দলের সংবিধান যেখানে আবার দুঃখজনকভাবে ভারতের সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই মূলনীতি ঠিক করা হয়েছে। ফলে ’৭২ এর সংবিধানের প্রতি জনগণের সমর্থন ছিল কিনা সেই প্রশ্ন গুরুতরভাবে বিদ্যমান আছে।

তিনি বলেন, আল্লাহর ওপরে আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপনের ব্যাপারে কেউ কেউ বলছেন যে, এতে নাকি বিশেষ ধর্মের প্রতি প্রধান্য দেওয়া হয়। তাদেরকে বাংলাদেশের সামাজিক, ধর্মীয় ও আমাদের জিওপলিটিক্যাল বাস্তবতা বিবেচনায় রাখতে হবে। এখানে আবেগে কাজ হবে না। আমাদের রাষ্ট্র টিকে আছে কিসের ওপরে তা চিন্তা করতে হবে। আমরা একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র। আমাদের চারপাশে শত্রু। আমাদের স্বাধীনতা, স্বকীয়তার ভিত্তি কি তা আমাদের বুঝতে হবে। শুধু ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদের কথা বললে আমাদের রাষ্ট্র টিকবে না।

আমাদের রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের ভিত্তি হলো ইসলাম। ইসলাম না থাকলে আমাদের আলাদা ভূখণ্ড হতো না। ভারতের সঙ্গে মিশতে আমাদের সমস্যা ছিল না। অতএব এই বাস্তবতা মাথায় রেখেই আমাদের রাষ্ট্রের মূলনীতি ঠিক করতে হবে। তাই সংবিধানের মুলনীতির প্রশ্নে একমত না হলে বিষয়টাকে গণভোটে নিয়ে যেতে হবে। কারণ, আমরা কয়েকটা দল মিলে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটা সিদ্ধান্ত নিলাম তা হতে পারে না। কারণ, এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন আমাদের ভবিষ্যতের অস্তিত্বের প্রশ্ন।

সংলাপ শেষে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, সাম্য ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনের জন্য বহুবার আন্দোলন করেছি। কিন্তু আমরা কি দেখছি? সুইস ব্যাংকে পাচারকৃত টাকার পরিমাণ বেড়েই চলছে।

এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতিই সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। ৯১টা দেশে পিআর আছে। মানুষ কোনো দলকে ভোট দেবে না বরং ভোট দেবে দলকে। এই পদ্ধতিতে সংসদ হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি। সংসদ হবে জবাবদিহিতামূলক সংসদ। সেজন্য আমরা এই দাবির পক্ষে জোড়ালো আন্দোলন গড়ে তুলছি। এটাই হবে জুলাই অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় সাফল্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here