আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

0
12
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

৫ বল হাতে রেখেই জিতল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ১৪৭ রান বাংলাদেশ পেরিয়ে গেল ৮ উইকেট হারিয়ে। ২ উইকেটের জয় বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে সিরিজও। তিন ম্যাচ সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ট্রফি নিশ্চিত করেছে।

নাসুম আহমেদের পর রিশাদ হোসেনও যখন দ্রুত সাজঘরে ফেরেন, তখন হারের শঙ্কাটা জেঁকে বসেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। এরপর নুরুল হাসান সোহানের ছক্কায় আসে স্বস্তি। সেই স্বস্তির রেশ টেনে দারুণ ফিনিশিং করেন ১০ নম্বর ব্যাটার শরিফুল ইসলাম, খেললেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটারের মতো।

শুক্রবার শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আফগানিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল টাইগাররা। আফগানদের দেওয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্যে টাইগাররা পৌঁছে যায় পাঁচ বল হাতে রেখে।

আগের দিন দারুণ শুরুর পর হঠাৎ ব্যাটিং ধসে পড়া বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছিলেন সোহান ও রিশাদ। এদিন শুরু থেকেই দোদুল্যমান অবস্থায় থাকা ম্যাচের শেষ দিকে এসে নায়ক বনে যান শরিফুল। ৬ বলে ২টি চারে খেলেন হার না মানা ১১ রান। ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন সোহান।

এর আগে সিরিজে টিকে থাকতে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াকু পুঁজিই পেয়েছে আফগানিস্তান। দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও সেদিকুল্লাহ অতলের সঙ্গে তিনে নামা রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে এই রান তোলে তারা। যদিও ভালো সূচনার পর শেষ দিকে টাইগারদের দারুণ বোলিংয়ে স্লগওভারের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি দলটি।
শুক্রবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৭ রান তুলে আফগানিস্তান। অর্থাৎ জিততে হলে ১৪৮ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।

সেদিকুল্লাহ ও ইব্রাহিম খুব বেশি আক্রমণাত্মক না হলেও প্রায় আট ওভারে ওপেনিং জুটিতে ৫৫ রান এনে দেন। তাতে বড় পুঁজির স্বপ্নই দেখছিল দলটি। এরপর অবশ্য বাংলাদেশের বোলাররা ঘুরে দাঁড়ান, বিশেষকরে দুই স্পিনার রিশাদ হোসেন ও নাসুম আহমেদ। তাতে রানের গতিতে লাগাম থাকে।

রিশাদ ও নাসুম দুইজনই পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। সেদিকুল্লাহকে ফিরিয়ে রিশাদ জুটি ভাঙার পর আরেক ওপেনার ইব্রাহিমকে তুলে নেন নাসুম। এরপর ওয়াফিউল্লাহ তারাখিলকে দ্রুত ফেরান রিশাদ। আর দাঁড়উইস রাসুলিকে ছাঁটাই করেন নাসুম।

তবে গুরবাজ এক প্রান্তে টিকে গিয়েছিলেন। দারুণ কিছু বাউন্ডারি আদায় করে হুমকি দিচ্ছিলেন টাইগারদের। তাকে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে বোল্ড করেন শরিফুল ইসলাম। তাতে শেষ দিকের সুবিধা আদায় করতে পারেনি আফগানরা। পাঁচ উইকেট হাতে থাকলেও শেষ চার ওভারে ৩০ রান তুলতে পারে দলটি।

আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন ইব্রাহিম ৩৭ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন। এছাড়া গুরবাজ ৩০ ও সেদিকুল্লাহ ২৩ রান করেন। শেষদিকে মোহাম্মদ নবি ১২ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here