ফুটবল বিশ্বের সেরা নক্ষত্রের তিক্ত অভিজ্ঞতা হল কলকাতায়। সল্ট লেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসিকে ঘিরে ভিড় সামলাতে ব্যর্থ পুলিশ-প্রশাসন ও উদ্যোক্তারা। মাত্র ২০ মিনিটেই মাঠ থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হল মেসিকে !
কলকাতার সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসিকে এক নজর দেখতে হাজির হয়েছিলেন অন্তত এক লাখ দর্শক। সকাল থেকেই স্টেডিয়াম ও আশপাশের এলাকায় উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তবে এত বিপুল সংখ্যক দর্শক সামলাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয় স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন ও আয়োজকরা। এমনটাই জানা যায় ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
কথা ছিল, শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ স্টেডিয়ামে আসবেন মেসি। যুবভারতী স্টেডিয়ামের গেট খুলে দেওয়া হয়েছিল সকাল সাড়ে আটটায়। এবং সকাল সাড়ে আটটা থেকেই স্টেডিয়ামে ঢোকার ভিড়। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ অনীক ধর বন্দেমাতরম গেয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। পরিকল্পনা মতোই ট্যাঙ্গো ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের ফিউশন নৃত্য পরিবেশন করা হয়। গ্যালারিতে তখন হাজার পঞ্চাশেক মানুষের ভিড়। কার্যত তিলধারণের জায়গা নেই।
ঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় বেলা সাড়ে এগারোটা। বিরাট কনভয় ঢুকল স্টেডিয়ামে। সরাসরি গাড়িতে চাপিয়েই মাঠে ঢোকানো হল মেসিকে। গ্যালারিতে শুরু হল গর্জন। মেসি মেসি স্লোগানে আকাশ বাতাস যেন ফেটে পড়ার জো। তারকাপুজোয় কোনও খামতি রাখতে চাইনি বাংলা।
মেসি মাঠে ঢুকেই গ্যলারির দিকে হাত নাড়লেন। মাঠে তখন মেসির নামে জয়োধ্বনি। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। তাল কাটল মেসিকে ঘিরে ভিড় বাড়তে থাকায়। ভারতীয় ফুটবলাররা মেসিকে ছোঁয়ার জন্য, জার্সিতে সই নেওয়ার জন্য এমন করলেন যে, অনেকেই বেশ হতবাক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখেই মাত্র ২২ মিনিটের মাথায় মাঠ থেকে বের করে নেওয়া হল মেসিকে। তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ল গ্যালারি।
উল্লেখ্য, মাঠে উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল লিওনেল মেসির। কিন্তু নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে সেই সূচিও বাতিল হয়ে যায়। নিজের ভক্তদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার আগেই মাঠ ছাড়তে হয় ফুটবল ইতিহাসের এই মহাতারকাকে।
আজ কলকাতায় মেসির বেশ ব্যস্ত সময়সূচি থাকার কথা ছিল। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এবং ভক্তদের সঙ্গে সময় কাটানোর পরিকল্পনা ছিল। তবে যুবভারতী স্টেডিয়ামের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর সেই সূচি নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।




