আগামীকাল ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন। তবে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই নাটকীয় হচ্ছে পরিস্থিতি। ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। তামিম ইকবালসহ হেভিওয়েট ১৭ জন প্রার্থী এখন পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
এরই মাঝে শনিবার তিন দফা দাবি জানিয়েছে বিসিবি নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা ক্রীড়া সংগঠকরা। এবার সেই তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছে ঢাকার ৪৮টি ক্রিকেট ক্লাবের সংগঠকরা।
এদিকে নির্বাচন বর্জন করাদের তালিকায় যোগ হয়েছে আরও একটি নাম। জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর হিসেবে ঢাকা বিভাগের পরিচালক পদপ্রার্থী ছিলেন আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান। তবে তিনি আজ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে আজ বিসিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ। সেখানে নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ করেন তিনি। এবারের বিসিবি নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের ‘রাতের ভোট’কেও হার মানিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ফুয়াদ বলেন, ‘রাতের ভোট তো…তবু তো ওরা ব্যালট বাক্স ভরেছে, সেটা আলাদা জিনিস। এরা তো সুকৌশলে এমন কাজ করছে, সেটা (রাতের) ব্যালট বাক্সকেও হার মানিয়ে ফেলছে।’
এদিকে ফুয়াদের সঙ্গে ঢাকা বিভাগ থেকে পরিচালক হওয়ার দৌড়ে আরও ছিলেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমূল আবেদীন। ফুয়াদ সরে দাড়ানোয় বুলবুল ও নাজমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেলেন।
ফুয়াদ বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বহুবার দেখা করতে চেয়েছি, আমার সঙ্গে দেখা করেনি। আমি দরখাস্তও দিতে চেয়েছিলাম যে, ই-ব্যালট ও পোস্টাল ব্যালট শুধু তাঁদেরকেই দেবেন, যাঁরা দেশের বাইরে অথবা হাসপাতালে রোগী হিসেবে আছেন। যাঁরা সুস্থ, যাঁরা ঘুরেফিরে খাচ্ছেন, যাঁরা কাউন্সিলর হয়েছেন, যাঁরা হোটেলে বসে আমোদ-ফুর্তি করছেন, তাঁরা কেন ই-ব্যালটে ভোট দেবেন?’