আসন্ন এশিয়া কাপের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড মঙ্গলবার ঘোষণা করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। শ্রেয়াস আইয়ার ও যশস্বী জয়সওয়ালদের মতো তারকাদের জায়গা না পাওয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে প্রচুর। জয়সওয়াল যেখানে স্ট্যান্ডবাই তালিকায় আছেন, শ্রেয়াসের নাম নেই সেখানেও। এ প্রসঙ্গে নানা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) ২০২৪ আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা জেতান আইয়ার। পরে ভারতের ঘরোয়া লীগ মুশতাক আলী ট্রফিতেও দলকে ট্রফি এনে দেন। শেষ আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসকে নিয়ে যান ফাইনাল পর্যন্ত। তবু ভারতের এশিয়া কাপ স্কোয়াডে জায়গা হয়নি এ ৩০ বছর বয়সী ক্রিকেটারের। নির্বাচক অজিত আগারকার এ নিয়ে বলেন, ‘শ্রেয়াসের সুযোগ না পাওয়াটা দোষের নয়, এমনকি আমাদেরও দোষ নয়। দলে ১৫ জনই থাকতে পারে। এর বেশি ক্রিকেটারকে রাখার সুযোগ নেই। ওকে কার জায়গায় নেয়া যেত?’ শ্রেয়াসের মতো জয়সওয়ালের ১৫ জনের দলে জায়গা না পাওয়াটা অনেকের কাছে বিস্ময়কর। সবশেষ আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ৪৩ গড়ে ১৫৯.৭১ স্ট্রাইক রেটে ৫৫৯ রান করেন এ বাঁহাতি ব্যাটার। মূলত ওপেনারদের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েন এ ২৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার। এ বিষয়ে আগারকার বলেন, ‘যশস্বীর দলে না থাকাটা দুর্ভাগ্যজনক। অভিষেকের পারফর্মেন্স উপেক্ষা করা কঠিন ছিল। আমরা টি-টোয়েন্টিতে ওর পারফর্মেন্স জানি। পাশাপাশি অভিষেক বলও করতে পারে, যা অধিনায়কের হাতে অতিরিক্ত বিকল্প দেয়। ওদের দু’জনের মধ্যে একজনকে বসতেই হতো।’ এদিকে শ্রেয়াসকে দলে না রাখায় অখুশি ভারতের সাবেক স্পিনার রবিচন্দ্রন আশ্বিন। নিজের ইউটিউব চ্যানেল অ্যাশ কি বাত-এ তিনি বলেন, ‘শ্রেয়াস আইয়ারের মতো একজন ক্রিকেটারের আর কী করার ছিল? দলে ফিরে সে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতিয়েছে… কেকেআরকে জিতিয়েছে, পাঞ্জাবকে ফাইনালে তুলেছে, শর্ট বলে দুর্বলতাও কাটিয়েছে। রাবাদা আর বুমরাহদের সহজেই খেলেছে। তার জন্য আমি ভীষণ দুঃখিত। শ্রেয়াস আর জয়সাওয়ালের প্রতি এটি একেবারেই অন্যায়।’
ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান মনে করেন শ্রেয়াসকে শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই নয়, ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের অংশ হিসেবেও বিবেচনা করার দরকার ছিল, ‘শ্রেয়াস কেবল টি-টোয়েন্টি দলেই নয়, নেতৃত্বের গ্রুপেও যে সে অনুপস্থিত এ নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। এ মুহূর্তে ধৈর্য্যই তার প্রধান হাতিয়ার।’ অন্যদিকে শ্রেয়াসের জায়গা না পাওয়াকে একধরণের পক্ষপাত বলে মনে করেন ভারতের সাবেক সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার, ‘আমার একটা বিষয় জানার ইচ্ছা, আপনাদের রিজার্ভ খেলোয়াড়ের তালিকায়ও কীভাবে সে (শ্রেয়াস) নেই? অথচ বলছেন সে শক্তিশালী প্রতিযোগী ছিল। মাঝেমধ্যে নির্বাচকদের সভা ও আলোচনাকে খুব মজার মনে হয়। তবে আমি বুঝতে পারছি না, ২০ জনের তালিকায়ও কীভাবে আইয়ারের জায়গা না হয়। তার মানে হয়তো তাকে টি-টোয়েন্টির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে না। সম্ভবত আইয়ার অন্য কারও চেয়ে কিছুটা কম পছন্দের!’