পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারলেও থামানো গেল না আর্লিং হল্যান্ডকে। দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করে তিনি নেতৃত্ব দিলেন নরওয়ের জয়ে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে ইসরাইলকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ইউরোপীয় বাছাইপর্বে গ্রুপ আই-এ শীর্ষে উঠে এসেছে দলটি।
১৯৯৮ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে নরওয়ে। সর্বশেষ তারা বড় কোনো টুর্নামেন্ট খেলেছিল ইউরো ২০০০-এ। এই জয়ের ফলে তারা দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইতালির চেয়ে ৯ পয়েন্টে এগিয়ে আছে, যদিও ইতালির হাতে এখনও দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে।
আগামী মঙ্গলবার এস্তোনিয়ার বিপক্ষে যদি জয় পায় নরওয়ে, আর ইতালি তাদের বাকি দুই ম্যাচের একটিতেও হারায়, তাহলে নিশ্চিত হয়ে যাবে নরওয়ের বিশ্বকাপ টিকিট।
ওসলোর উলেভাল স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর আগে ভিন্ন চিত্র। শত শত মানুষ জড়ো হন ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগানে। গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেন। নরওয়ে ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লিজ ক্লাভেনেসও সম্প্রতি ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান।
ম্যাচের ১৪তম মিনিটেই স্পটকিক পান নরওয়ে। কিন্তু হল্যান্ডের নেওয়া পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ইসরাইল গোলকিপার ড্যানিয়েল পেরেটজ। পরে ‘এনক্রোচমেন্ট’-এর কারণে শটটি আবার নেওয়া হলেও দ্বিতীয়বারও সেভ করেন পেরেটজ।
তবে ১৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় নরওয়ে। ইসরাইল ডিফেন্ডার আনান খালাইলির আত্মঘাতী গোলে স্বাগতিকরা পায় প্রথম গোল। এরপর ২৩ মিনিটে হল্যান্ড গোল করে টানা নবম আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্কোরশিটে নাম তোলেন।
২৮ মিনিটে আবার আত্মঘাতী গোল। পেরেটজের কিক ডিফেন্ডার ইদান নাখমিয়াসের গায়ে লেগে জালে ঢুকে যায়। গোল ঠেকাতে গিয়ে তিনি পোস্টে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন।
বাকি দুই গোল আসে দ্বিতীয়ার্ধে। ৬৩ মিনিটে নুসার ক্রস থেকে হেডে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন হল্যান্ড। ৭২ মিনিটে আরও একটি হেডে পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক- যা তার বাছাইপর্বে সর্বমোট গোলসংখ্যাকে ১২-তে পৌঁছে দেয়, যা ইউরোপীয় অঞ্চলে সর্বোচ্চ।