অনেকে সিগারেটের বিকল্প হিসাবে ই-সিগারেট বা ‘ইলেকট্রনিক সিগারেট’ ব্যবহার করেন। তারা মনে করেন ই-সিগারেট ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করে। ক্যানসার বিশেষজ্ঞদের মতে, ই-সিগারেট ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করে এর কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর প্রভাব সাধারণ সিগারেটের চেয়েও ক্ষতিকারক।
ই-সিগারেটের তরল মিশ্রণের (ই-লিকুইড) মধ্যে থাকে প্রপেলিন গøাইসল, গিøসারিন, পলিইথিলিন গøাইসল, নানাবিধ ফ্লেভার এবং নিকোটিন। গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রাসায়নিকগুলো থেকে সাধারণ সিগারেটের ধোঁয়ার সমপরিমাণ ফরমালডিহাইড উৎপন্ন হয়। এ ছাড়া ই-সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকে অতিসূ² রাসায়নিক কণা যা ভীষণ ক্ষতিকারক। এর থেকে গলা-মুখ জ্বালা, বমিভাব এবং কাশি দেখা দিতে পারে।
এছাড়া ই-সিগারেটের প্রধান উপকরণ নিকোটিন থেকে দ্রæত আসক্তি তৈরি হয়। যা থেকে ফুসফুসের বিভিন্ন অসুখ হতে পারে। এর মধ্যে যেভাবে রাসায়নিক নিকোটিন ব্যবহার করা হয়; এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে মৃত্যুও হতে পারে।এর ধোঁয়ায় এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো থেকে ক্যানসার হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সাধারণ সিগারেটের চেয়ে ই-সিগারেট দশগুন বেশি ক্ষতিকারক। সবচেয়ে বড় কথা, ই-সিগারেট দিয়ে ধুমপান কখনো ছাড়া যায় না।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান