গত ৪৮ ঘণ্টায় বিহারে কমপক্ষে ৬১ জনের মৃত্যু। নালন্দায় মৃত্যুর সংখ্যা সব থেকে বেশি। বৃহস্পতিবার মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২২। শুক্রবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১।
এর মধ্যে পাটনা, ভোজপুর, সিওয়ান এবং গয়াতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ এবং জামুইতে তিনজন, মুজাফফরপুর, জেহানাবাদ, সরণ এবং আরওয়ালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে বেগুসরাই, দারভাঙ্গা, সহরসা, কাটিহার, মুঙ্গের, মাধেপুরা, আরারিয়া এবং ভাগলপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
নালন্দার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শশাঙ্ক ভুবনকর জানিয়েছেন, বজ্রপাতের কারণে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চলছে। ময়নাতদন্তের পর লাশগুলো পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হবে। ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। প্রশাসনের তরফে তা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মানপুর থানা সীমানার অন্তর্গত নাগমা গ্রামে বৃহস্পতিবার একটি মন্দিরের উপর গাছ পড়ে ছয়জন মারা গেছেন। শিলাবৃষ্টির সময় গ্রামবাসীরা একটি মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। দেয়াল ধসে তাঁদের মৃত্যু হয়।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবার পিছু চার লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে ঘরের ভিতরে থাকতে বলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। গত দুই দিনে ভারী বৃষ্টিপাত এবং শিলাবৃষ্টিতে বিহারের ৩৮টি জেলার কমপক্ষে ২৫টি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের ফলে ঘরবাড়ি, গবাদি পশু এবং কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র : পুবের কলম