স্বাধীনতা
মুহাম্মদ আলম জাহাঙ্গীর
পঁচিশ মার্চ কালো রাতে ঘুমন্ত বাঙ্গালির উপর,
নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাপিষ্ঠ পাক হায়েনা।
ওরা হত্যা করে শিশু-কিশোর নারী-পুরুষ ছাত্র-শিক্ষক কবি সাহিত্যিক কৃষক শ্রমিক রহ রহ।
স্টেনগানের গোলায় ঝাঁঝড়া করে অজস্র দেহ।
বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে উপড়ে ফেলে চোখ।
ওরা হায়েনা ওরা পাপিষ্ঠ নেই ওদের কোনো শোক।
ওরা বাঙ্গালির কোটি কোটি বসত ঘর জ্বালিয়ে দেয় পেট্রোল গোলার আগুনে,
লেলিহান অগ্নিশিখায় তা নিমিষেই জ্বলে যেমন- জ্বলে শিমুল পলাশ ফাগুনে।
হত্যা লুট ধর্ষণ করেও ক্ষ্যান্ত হয় না। করে গণধর্ষণ বাঙ্গালি মা বোনদের,
হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান অযুত নিযুত ঢের।
দেশের দুর্দিনে মুজিব জিয়ার স্বাধীনতার ডাকে,
ঝাঁপিয়ে পড়ে ছাত্র-শিক্ষক আমজনতা পুলিশ ইপিআর আনসার বাংলার বাঁকে বাঁকে।
সবার একতায় গড়ে ওঠে মুক্তিসংগ্রাম,চলে অবিরত প্রতিরোধ।
মুক্তিফোর্স গঠন করে আমরা করি দেশ স্বাধীন।
একতার ফলে পাই মা মাটি ভাষা আর কাঙ্খিত স্বাধীনতা।
নতুন পানিসারা,ডাকঘর: পেঁচুল, উপজেলা: শেরপুর,জেলা: বগুড়া