top-ad
২৭শে জুলাই, ২০২৪, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১
banner
২৭শে জুলাই, ২০২৪
১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১

তোষাখানার মাল’ আত্মসাতের দায়ে গ্রেফতার হতে পারেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

আন্তর্জাতি ডেস্ক :  তোষাখানার মাল’ আত্মসাতের দায়ে চোখের জল-নাকের পানি এক হচ্ছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। পরোয়ানা জারি হয়ে গেছে। ঘর থেকে বের হতে পারছেন না চৌদ্দশিকের ভয়ে। বাড়ির চারপাশ ঘিরে রয়েছে নেতা-কর্মী সমর্থকরা। আর দূর থেকে চিলের মত বারবার ছোঁ মারছে পুলিশ। অথচ এই একই অপরাধ করেও রাজার হালে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন জোটের হেভিওয়েট নেতারা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফেরও নাম আছে। সে সময় অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। তালিকায় রয়েছে বেশকিছু সরকারি কর্মকর্তাও।

রোববার দেশটির মন্ত্রিসভা সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে ২০০২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তোষাখানার উপহার গ্রহণকারীদের লম্বা নথি থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়। খবর ডনের। ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুসারে, প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, প্রয়াত সামরিক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাফরুল্লাহ খান জামালি, সিনেট চেয়ারম্যান সাদিক সানজরানি, অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, শেখ রশিদ আহমেদ, খুরশিদ কাসুরি, আবদুল হাফিজ শেখ, জাহাঙ্গীর তারিন, শাহ মাহমুদ কুরেশি এবং ড. আতাউর রহমানসহ রয়েছে আরও অনেকের নাম।

২০০৯ সালের ২৬ জানুয়ারি একটি বিএমডব্লিও এল আই হোয়াইট (নিরাপত্তা সংস্করণ) নিজের কাছে রেখে দেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রেসিডেন্ট ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। গাড়িটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৭.৩ মিলিয়ন রুপি। যার মধ্যে তিনি মাত্র ৪ মিলিয়নের কিছু বেশি মূল্য পরিশোধ করেছিলেন। সেসময়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ- নওয়াজের প্রেসিডেন্ট ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিপও আছেন তালিকায়। ২০০৮ সালের ২০ এপ্রিল উপহার পেয়েছিলেন মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি। যার মূল্য ছিল ৪.২৫ মিলিয়ন রুপি। এর মধ্যে ০.৬৩৬ মিলিয়ন রুপি তিনি পরিশোধ করেছিলেন।

তালিকা থেকে বাদ যাননি বর্তমান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী ও তার স্ত্রী সামিনা আলভিও। প্রায় ১২ লাখ রুপি মূল্যের একটি নেকলেস নিয়েছিলেন আলভি’র স্ত্রী সামিনা। যদিও এর জন্য তারা তোষাখানায় ৮ লাখ ৬৫ হাজার পরিশোধ করেছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে মূল্য পরিশোধ ছাড়াই সেখান থেকে তিনি আরও গয়না নিয়ে যান। আরও পরে আরিফ আলভী ১২ লাখ রুপি পরিশোধ করে ২৫ লাখ রুপি মূল্যের একটি রোলেক্স ঘড়ি নিয়ে যান। শেখ রশিদ মাত্র ৩ হাজার ৪০০ রুপি দিয়ে দুটি মূল্যবান স্বর্ণমুদ্রাসহ কয়েক ডজন উপহার নিয়ে যান। খুরশিদ কাসুরিও মূল্য পরিশোধ ছাড়া ২০০৫ সালে বেশ কয়েকটি উপহার নেন। পাঁচটি মূল্যবান হাতঘড়ি, অলঙ্কার এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী। এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ ও শওকত আজিজ বিনামূল্যে শত শত বিদেশী উপহার রেখেছেন নিজের কাছে।

আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

জনপ্রিয় খবর