ফিলিস্তিনে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে আরো ১৪ জন। আজ বৃহস্পতিবার আরিহার আকাবায়ে জাবের ক্যাম্পে এ অভিযান চালানো হয়। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি সেনাবাহিনী ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আকাবায়ে জাবের ক্যাম্পে হামলা চালায়। এ সময় তারা ক্যাম্পের প্রবেশপথ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মাটির ঢিবি দিয়ে বন্ধ করে দেয়। নাগরিকদের ক্যাম্প থেকে বের হতে দেয়নি। বাইরে থেকে মানবাধিকারকর্মীদেরকেও প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এরপর তারা অন্তত ৫০টি ঘরে তল্লাশি চালায়। এ সময় তারা আরিহার গভর্নরের বাসভবনও বাদ রাখেনি। তারা স্থানীয় সিসি ক্যামেরাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। সেখান থেকে ধারণকৃত অনেক ভিডিও ডিলেট করে দেয়।
ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম ওয়াফা প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে বর্ণনা করেছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী ক্যাম্পে প্রবেশ করে নাগরিকদের উদ্দেশ করে গুলি ও বিষাক্ত গ্যাস নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এতে ১৩ ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তাদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পর্যন্ত ক্যাম্পটিতে কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অনেক।
জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি রিয়াজ মানসুর ইসরাইলী আগ্রাসন বন্ধে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি সংস্থাটির মহাসচিত অ্যান্তনি গুতরেস, নিরাপত্তা পরিষদ সভাপতি ও সাধারণ পরিষদ সভাপতি বরাবর তিনটি চিঠি লিখেছেন।
এসব চিঠিতে তিনি ইসরাইলিদের অভিবাসন তৎপরতা ও বেসামরিক নাগরিকদের জোরপূর্বক উচ্ছেদসহ পূর্ণ পরিস্থিতি অবহিত করেছেন। তুলে ধরেছেন আন্তর্জাতিক নীতি ভঙ্গন করে কিভাবে ইসরাইল আকসা মসজিদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ইসরাইলের চরমপন্থী মন্ত্রী ইতিমার বিন গাফির গত রোববার ইসরাইলি পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় আকসা মসজিদে অনুপ্রবেশ করেন। এরপর থেকেই সেখানে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে।
এ সময় তিনি অধিকৃত ফিলিস্তিন ও আকসা মসজিদে ইসরাইলের যেকোনো পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যানের দাবি জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদকে বিবৃত দেয়ার অনুরোধ জানান। একইসাথে ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক আইন ও আকসা মসজিদের ঐতিহাসিক সম্মান রক্ষার প্রতি আহ্বান জানান।
সূত্র : ওয়াফা/আল জাজিরা মুবাশ্বির ও অন্যান্য