টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকা ক্রিকেট দল। ২০১৪ সালের শিরোপাজয়ী দলটি চলমান নবম আসরে খেলতে নেমেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের পড়ে যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে ৭৭ রানেই অলআউট হয় শ্রীলংকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটাই শ্রীলংকার দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর।
এর আগে ২০১০ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল শ্রীলংকা। টি-টোয়েন্টিতে তাদের সেটাই ছিল এতদিন দলীয় সর্বনিম্ন রানের স্কোর।
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলীয় সর্বনিম্ন দুটি রেকর্ডের মালিক নেদারল্যান্ডস। তারা ২০১৪ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৩৯ রানে অলআউট হয়। ২০২১ সালে সেই শ্রীলংকার বিপক্ষেই দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৪৪ রানে অলআউট হয় ডাচরা।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের নবম আসরের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হয় শ্রীলংকা বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই বিপদে পড়ে যায় সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৩.১ ওভারে মাত্র ১৩ রানেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা।
এক উইকেটে শ্রীলংকার সংগ্রহ ছিল ৩১ রান। এরপর মাত্র ১ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট (কামিন্দু মেন্ডিস, ওয়ানেন্দু হাসারাঙ্গা ও সাদিরা সামারাবিক্রমার) উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় লংকানরা।
দলীয় ৪০ ও ৪৫ রানে আউট হন আরেক ওপেনার কুশাল মেন্ডিস ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান চারিথ আসালঙ্কা। ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় শ্রীলংকা।
৬ উইকেটে শ্রীলংকার সংগ্রহ ছিল ৬৮ রান। এরপর মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে সাবেক দুই অধিনায়ক দাসুন শানাকা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও তারকা পেসার মাথিশা পাথিরানার উইকেট হারায় লংকানরা। দলীয় ৭৭ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন নুয়ান থুশারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আনরিচ নর্টজে ৪ ওভারে মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন। ২ ওভারে ২১ রানে ২ উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। ৪ ওভারে ২২ রানে ২ উইকেট নেন কেশভ মহারাজ।