top-ad
২৭শে জুলাই, ২০২৪, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১
banner
২৭শে জুলাই, ২০২৪
১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১

ব্রিকস সম্মেলন থেকে খালি হাতে ফিরলেন শেখ হাসিনা

চৌর্যবৃত্তির ওস্তাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের কূটনৈতিক ব্যর্থতা

রতন তালুকদার : সম্প্রতি শেষ হল দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানবার্গ-এ আলোচিত ব্রিকস সম্মেলন। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে ব্রিকস জোট। মূলত অর্থনৈতিক মঞ্চ বলা হলেও ব্রিকস
ভূরাজনীতির নতুন মেরুরূপে পরিণত হয়েছে। প্রভাবশালী দেশগুলির আধিপত্য ও আঞ্চলিক ভারসাম্যতা ব্রিকসের চোখ হয়ে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশ সহ ৪০টি দেশ ব্রিকসের সদস্য হতে আগ্রহ প্রকাশ করে। ২২টি দেশ সরাসরি আবেদন করে। বাংলাদেশ আবেদনকারী দেশগুলির অন্যতম। ক’মাস ধরেই বাংলাদেশের অতিকথক জোকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাসী হয়ে মনগড়া অনেক কথা বলছেন। ভাবখান তিনি ব্রিকসের সদস্য পদ নিশ্চিত করেই বসে আছে। অতি আগ্রহ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যান।
কিন্তু কূটনৈতিক ব্যর্থতায় ভেসে গেলো ব্রিকসের স্বপ্ন। ফিরে এলেন খালি হাতে। এবার ব্রিকস আরও ৬টি দেশকে সদস্যপদ দিয়ে সম্প্রসারণ হল। বাংলাদেশের ভাগ্যে জুটলো ঘোড়ার ডিম! সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, আর্জেন্টিনা ও ইথোওপিয়া আগামী জানুয়ারি থেকে ব্রিকসের সদস্য। এ নিয়ে ব্রিকস দাঁড়ালো পাঁচ থেকে এগারো দেশের জোটে। আফ্রিকার হতদরিদ্র দেশ ইথিওপিয়া সদস্যপদ পেলেও বাংলাদেশ পায়নি। এ লজ্জা রাখি কোথায়!
কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের সূত্রমতে বাংলাদেশ কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণেই এবার ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচারণা চালালেও ব্রিকসের দরজা থেকে ফিরে এলো। পরররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের শিশুসুলভ কূটনৈতিক আচরণ, অতিকথন এবং অযোগ্যতার কারণে ব্রিকস জোটের নতুন সদস্যপদ পাওয়া হাতছাড়া হয়। পরররাষ্ট্রমন্ত্রীর মেজাজে মননে কূটনৈতিক দক্ষতার ঘাটতি এবং তার তেলে মাথায় তেল দেয়ার প্রবণতাই চোখে পড়ে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের দায়িত্বজ্ঞানহীন অকূটনৈতিক মূলক আচরণ এবং অতিকথন কাল হল পুরো দেশের জন্য। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে প্রথম দিকে ভারতের কাছ চৌর্যবৃত্তি করতে গিয়ে বলেন, ভারত-বাংলাদেশ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক, ভারত-বাংলাদেশ রক্তের সম্পর্ক এমনকি চট্টগ্রাম হিন্দুদের একসভায় বলেন, ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে।
এমনকি তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও নানা কান্ডজ্ঞানহীন কথা বলে ক্ষেপিয়ে তুলেছেন, অনবরত মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমেরিকান-সমাজ ও রাজনীতি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। যেমন আমেরিকাতে প্রতিদিন মানুষ খুন-গুম হয়, গণতন্ত্র নেই, আরও কত কি! তিনিই আবার মার্কিন বিদেশ সচিব বিøকেনের কাছে গিয়ে বলেছেন তিনি হোমলেস ছিলেন আমেরিকা আশ্রয় দিয়েছেন বলে কৃতজ্ঞতাও জানান। এমন আরও অনেক পাগলের প্রলাপ!
নয়াদিল্লির সাউথব্লক ও ওয়াশিংটনের স্টেট ডিপার্টমেন্টকে তিনি খেপিয়েছেন ইচ্ছামত ফলে যা হবার তাই হয়েছে! মার্কিন ভিসা ও র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞায় সম্পর্কের চরম অবনতি এর প্রমাণ। আমরা দেখেছি প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ দিল্লি সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সফরসঙ্গী পর্যন্ত করা হয়নি!
তারপর চীনপ্রীতি। কূটনীতিতে ভারসাম্যের খেলা জানতে হয়। চীনের সাথে দিল উজাড় করে প্রেম ,বাণিজ্য ও রাজনীতি করবেন ,আর ভারত তামাসা দেখবে এমন হয় কি? ব্রিকস থেকে খালি হাতে ফিরে কি আম আর ছালা দুইটিই গেলো ?

আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

জনপ্রিয় খবর