মাইকে ঘোষণা দিয়ে ব্যান্ড বাজিয়ে দুই ইউনিয়নের সংঘর্ষ

0
167

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ব্যান্ড বাজিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল
দুই ইউনিয়নের দুইদল গ্রামবাসী। হাজার হাজার জনতা শিমুল বাজার এলাকার আশপাশে জড়ো হয়ে শুরু করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ঘটনায় ১০ জনের মতো আহত হন বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০টা শিমুল বাজার এলাকার আশপাশে থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ বেলা ১২টা পর্যন্ত ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে।

সংবাদ শুনে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ভাঙ্গার ঘারুয়া, কালামৃর্ধা ও আজিমনগর এই তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের প্রচেষ্টায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দু’পক্ষের হয়ে সহস্রাধিক জনতা সংঘর্ষে যোগ দেয়। এ সময় পাতরাইল থানমাত্তা গ্রামের হয়ে কালামৃধা ইউনিয়নের একদল এবং পুকুরপাড় গ্রামের পক্ষ নিয়ে আজিমনগর ইউনিয়নের আরেকটি দল সংঘর্ষকারীদের সমর্থন দেয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় তিন ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় সংঘর্ষস্থল থেকে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।

আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার বলেন, চার-পাঁচদিন আগে আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদে পাতরাইল থানমাত্তা ও পুকুরপাড় গ্রামের লোকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা নিরসনে একটি সালিশ বৈঠক হয়। সালিশ বৈঠক চলাকালে পাতরাইল থানমাত্তা গ্রামের কয়েকজন যুবককে পুকুরপাড় গ্রামের লোকজন মারধর করে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তারা ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

কালামৃধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল মাতুব্বর বলেন, আমার এলাকার লোকজন পাতরাইল থানমাত্তা গ্রামের লোকদের সমর্থন দেয়। পরে আমি তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছি।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে আল্লাহ রক্ষা করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here