top-ad
১৩ই মে, ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১
banner
১৩ই মে, ২০২৪
৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১

ক্ষমতার দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতার দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে এসে দিবাস্বপ্নে বিভোর। বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। বিএনপির প্রভু আছে। যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে ওকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো বিদেশী বন্ধু কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। কিন্তু বিএনপির প্রভুরা যখন নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করেছিল তখন আমাদের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষে দৃঢ়ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল।
গতকাল বিকেলে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে ২৫ মার্চ গণহত্যা নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধের কথা নেই, বঙ্গবন্ধুর কথা নেই। এরা পাকিস্তানের দালাল। বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এই সমাবেশ। এখানে মুক্তিযোদ্ধা হাতে গুনলে কয়েকজনকে পাবেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে না, তারা কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। এরা দালাল। এই দালালদের বিরোধিতার কারণেই ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি এবং পাকিস্তান থেকে ক্ষতিপূরণ পাইনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এ দেশে অবস্থান করা পাকিস্তানি নাগরিকরা দেশের বোঝা হয়ে আছে। পাকিস্তান কথা দিয়েও তাদের নাগরিকদের ফেরত নেয়নি। একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তান একটিবারও দুঃখ প্রকাশ করেনি। পাকিস্তানের কোনো সরকারি লোক একাত্তরে যুদ্ধাপরাধীর জন্য বাংলাদেশের জনগণ ও বাংলাদেশের কাছে এযাবৎ ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। সেই পাকিস্তানের যারা দালালি করে তারা আমাদের স্বাধীনতার শত্রু। বিএনপি পাকিস্তানের দালালি করে এরা আমাদের শত্রু। এরা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের দালালে বাংলাদেশ ভরে গেছে। ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে হলে এই দালালদের প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চান, তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় ছিলেন? কোথায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন? কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? বিএনপি মহাসচিবকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব আপনিও রিজভীর মতো মাথা গরম করবেন না। বেশি কথা বললে হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দেবো- বিএনপি নেতারা ভারতীয় পণ্য কে কিভাবে ব্যবহার করে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

জনপ্রিয় খবর