বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয়তাবাদী নয়, দেশপ্রেমিক নয়, গণতান্ত্রিকও নয়। যার কারণে এরা জনগণের কথার তোয়াক্কা করে না।’
শুক্রবার (৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ রাজবন্দীদের মুক্তির দাবি ও দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এক পেশাজীবী সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘এখন আমাদের মুখ্য দাবি হওয়া দরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে এই সরকারকে প্রত্যাহার ও সরানো। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেছেন, জনগণ থাকবে নিরাপদে ঘরে, ভোট দেবে প্রশাসন, সন্ধ্যায় ফল গণনা করবে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ জনগণ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন না। ২০১৮ সালের নির্বাচন দেখেছেন, কারা ভোট দিয়েছে? প্রশাসন।’
চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবাইকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘দেশের কথা চিন্তা করেন, ১৯৭১ সালের মতো গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের রুখে দাঁড়ান। ১৯৭১ সালে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। গণতন্ত্রের জন্য আমরা এখন যুদ্ধ করছি। এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন, নাকি বিরোধিতা করবেন? অংশগ্রহণ করলে ভালো, না করলে ১৯৭১ সালের মতো রাজকারের খাতায় নাম লেখাবেন।’
১৯৭১ সালে শান্তি কমিটি গঠন করা হয়েছিল উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখন আওয়ামী লীগও আরেকটি শান্তি কমিটি করছে। যেদিন আমরা কর্মসূচি করি, সেদিন ওই শান্তি কমিটিও কর্মসূচি দেয়। ওই শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হলেন ওবায়দুল কাদের। আমি বিশ্বাস করি, তিনি শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করবেন। কোনো কমিটি এ সরকারকে রক্ষা করতে পারবে না।’
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক রাশেদুল হক, আমিরুল ইসলাম কাগজী, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, সাংস্কৃতিক জোটের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।