উন্নত চিকিৎসার জন্য আরও সাত ‘জুলাই যোদ্ধা’কে থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাদের থাইল্যান্ডের স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্য দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো ‘জুলাই যোদ্ধা’দের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭ জনে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। অনেকেই উন্নত চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসেছেন বলেও তিনি জানান। আরও ২০ জনেরও বেশি আহত যোদ্ধাকে দেশের বাইরে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
ডা. মাহমুদুল হাসান জানান, গতকাল থাইল্যান্ডে পাঠানো সাতজনের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন একজন, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস থেকে তিনজন এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে দুজন।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আশরাফুলের শরীরের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গেছে। গত ৫ আগস্ট আন্দোলনের সময় তিনি যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছিলেন। এছাড়া, নিউরোসায়েন্সেসে চিকিৎসাধীন এক তরুণের বাম পা অবশ হয়ে গেছে। বাকি সবাই স্নায়ুজনিত কারণে স্বাভাবিক চলাচলের সক্ষমতা হারিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে, খোকন চন্দ্র বর্মণ নামে এক ‘জুলাই যোদ্ধা’ মুখের সার্জারির প্রথম ধাপ শেষ করে গত ৭ মে রাশিয়া থেকে দেশে ফিরে এসেছেন।